দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশজুড়ে সিএএ লাগু হতেই বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার হাবড়ার সভা থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার জানিয়েছেন, প্রাণ থাকতে বাংলায় তিনি ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রী দাবি, বাংলার বৈধ নাগরিকরাও সিএএ-এর জন্য আবেদন করলে অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন।
তৃণমূল এই যুবনেত্রীর গানে বলা হয়েছে, ‘আমার দেশের মানুষ ভাবিয়া দেইখো আসিয়া… আমি কেমন আছি আবাস ছেড়ে গ্যাসেরও দাম বাড়িয়া…দেইখো আসিয়া'। সিএএ প্রসঙ্গ তুলে গানের লাইনে বলা হয়েছে, ‘আমার ভাবতে লাগে ভয়…সিএএ বড় কষ্ট দেয়।’ পাশাপাশি মণিপুরে নারী নির্যাতন ইস্যুতে বলা হয়েছে, ‘যখন মণিপুর হয় রাজা যে চুপটি করে রয়…’। একই গানে আবার সন্দেশখালিতে সাজিয়ে বাংলা জয় করার কথাও বলেছেন রাজন্যা, ‘সন্দেশখালি সাজিয়ে বলো বাংলা করব জয়…।’
ভালো গায়িকা হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তৃণমূল যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার। স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই রাজন্যার গানের প্রশংসা করেছেন। এর আগে একাধিক সময় তাঁর গানের গলা প্রতিবাদের ভাষা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা ‘জয়ী’ ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য তিনি।
সিএএ কার্যকর হওয়ার পরেই মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিবাদ। যদিও বেশ কয়েক বছর আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএএ পাশ হয়েছে সংসদে। এবার সেটা কার্যকর করা হল। নিয়ম বিধি তৈরি করে সদ্যই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর দেশে সিএএ লাগু হতেই অনেকেই তার বিরোধিতা করেছেন।