ঠিক তার আগেই মধুছন্দা বলেছিলেন, ‘শহরে এত আলো। তার পরেও আলোর জন্য বাজেটে এত টাকা বরাদ্দ না-করে অন্য খাতে সেই টাকা বরাদ্দ করা যেত।’ পুরসভায় অরিজিতের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন সিপিএমের নন্দিতা রায় এবং বিজেপির সজল ঘোষ ও বিজয় ওঝা। মধুছন্দা বলেন,‘আমি কালো হলেও মহিলা। যিনি আমার গায়ের রং নিয়ে বলেছেন, তাঁর দলের সুপ্রিমো এক জন নারী। কোনও নারী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা যায় না।’
অধিবেশনকক্ষের বাইরে, পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় বলেন, ‘এক জন মহিলাকে এই ভাবে বলা যায় না। এটা সমর্থনযোগ্য নয়।’ এ দিন অধিবেশন পর্বের শেষ দিকে অরিজিৎকে দেখা যায় মধুছন্দার আসনের কাছে গিয়ে কথা বলতে। পরে মধুছন্দা বলেন, ‘অরিজিৎ আমার কাছে এসে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আমাকে সরিও বলেছেন।’
সোমবার বাইবেলের উল্লেখ করে একটি উপমা টেনে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, তৃণমলের অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁকে শোকজ়ও করেন। মঙ্গলবার পুর অধিবেশনে তাঁকে দেখা যায়নি। তৃণমূলের পুর দল সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্বস্তি এড়াতে দলের পুর নেতৃত্ব অনন্যাকে অধিবেশনে না-আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তার পর আবার এ দিন অরিজিতের বর্ণ বিদ্বেষমূলক মন্তব্য।
এ দিন ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী কলকাতা পুরসভার মুখপত্র ‘পুরশ্রী’র শতবর্ষ উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক সংখ্যা বার করতে মেয়রকে অনুরোধ জানান।