দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি ‘ঘনিষ্ঠ’দের আপত্তিতে বন্ধ হয়ে গেল হাওড়া ক্রিসমাস কার্নিভাল।সূত্রের খবর পার্কিংয়ের নামে টাকা তোলার অভিযোগ ও বিবাদের পরই বন্ধ হয় যায় এই অনুষ্ঠান।
সূত্রের খবর হাওড়া ক্রিসমাস কার্নিভালে হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নামে অবৈধভাবে পার্কিংয়ের টাকা তোলার অভিযোগ। সাইকেল বা বাইক রাখতে গেলেও টাকা আদায় করছিল ‘পার্কিং চক্র’। শেষ পর্যন্ত এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারাই টাকা আদায়কারীদের তুলে দেন মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির হাতে। ধৃতদের জেরা করে আরও দুজনের নাম উঠে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, হাওড়ার ডুমুরজলায় ষষ্ঠী-নারায়ণ ইকো পার্কে হাওড়া ক্রিসমাস কার্নিভালে যোগদান করতে আসা মানুষের কাছ থেকে হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নামে অবৈধভাবে পার্কিংয়ের নামে টাকা নেওয়া হচ্ছিল।
শুধুমাত্র দর্শনার্থী নয়, এলাকাবাসীদের সাইকেল বাইক রাখতে গেলেও টাকা দিতে হচ্ছিল অবৈধ পার্কিং আদায়কারীদের। গত ২২ ডিসেম্বর মেলা চালু হওয়ার দিন থেকেই এই টাকা তোলে হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাম উল্লেখ করে মা তারা পার্কিং নামে একটি এজেন্সি। অবৈধভাবে বাইক প্রতি দশ টাকা ও সাইকেল পিছু পাঁচ টাকা করে আদায় করা হয়। কর্পোরেশনের নাম করে টাকা নেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোনও বৈধ রসিদ। এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বুধবার মন্ত্রী তথা ওই এলাকার বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি ঘটনাস্থলে যান। যারা অবৈধভাবে পার্কিংয়ের টাকা আদায় করছিল, তাদের ধরে মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা।
মহম্মদ আরবাজ, মহম্মদ জাহাঙ্গির, মহম্মদ শামসাদ, দীপু দুবে নামে অভিযুক্ত তোলা আদায়কারীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা রাজেশ তিওয়ারি ও সৌরভ দত্ত নামে দুই ব্যক্তির নির্দেশে টাকা তুলছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সৌরভ দত্ত হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কর্মচারী। তার নির্দেশেই অবৈধ ভাবে পার্কিং ও স্টল থেকে টাকা তোলা হয়। বিধায়ক অভিযুক্তদের জগাছা থানার পুলিশ আধিকারিকের হাতে তুলে দেন ও যাতে অন্য কোনও ব্যক্তি পার্কিংয়ের নামে অবৈধভাবে তোলা আদায় না করতে পারে, সেই ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।