দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই লোকসভা ভোট। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও পর্যন্ত প্রকাশ না পেলেও রাজনৈতিক দলগুলি তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এই আবহে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ এনেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সংবাদমাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একাধিক সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করা হয়েছে, বাংলায় বিভিন্ন প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং রাজ্যের অনীহায় কোন কোন প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। ওই বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গেই টুইট করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতৃত্বকে সরাসরি তাঁর সঙ্গে তর্কে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপরই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিল তৃণমূল। কী বলা হয়েছে এই চিঠিতে?
সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই বিজ্ঞাপন দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাঁদের দাবি, দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে যখন কোনও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তখন তার নিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত। সেটা না করে এই বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট সরকারের পক্ষপাতিত্ব করছে। একই সঙ্গে, বিরোধী সরকারগুলিকে নেতিবাচক দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন কী রয়েছে সেটিও চিঠিতে উল্লেখ করেছে শাসক দল।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে লাগাতার সরব হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত রবিবারের ব্রিগেড সভা থেকেও এই নিয়ে আওয়াজ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই বৃহস্পতিবার একাধিক সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে কী উন্নয়ন করেছে সরকার, তার খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, শেষ ৫ বছরে বাংলার সরকারকে কেন্দ্রের তরফে ৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র দূরীকরণের মতো একাধিক সমস্যায় পদক্ষেপ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিজ্ঞাপনকে চূড়ান্ত মিথ্যাচার বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজ্ঞাপন ইস্যুতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘‘মিথ্যাচার করার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জনগণের টাকা নষ্ট করছে। আমি বিজেপি নেতৃত্বকে আমার সঙ্গে মুখোমুখি তর্কে বসার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। '' ময়নাগুড়ি টাউন ক্লাবের মাঠের সভায় বিজেপির প্রতিনিধিদের আসতেও বলেছিলেন তিনি। যদিও সেখানে বিজেপির তরফে কেউই যাননি।