kolkata

1 year ago

ED on Sheikh Shahjahan:শাহজাহানকে ফের নোটিশ, সাত সকালে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু ED-র

ED search is going on. Central forces guarded outside.
ED search is going on. Central forces guarded outside.

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ইডি অফিসারদের ওপর আক্রমণের ঘটনার পর ৪৯ দিন পার হয়ে গিয়েছে। নতুন করে বিপাকে সন্দেশখালির ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। শুক্রবার আমদানি-রফতানি ব্যবসা সংক্রান্ত একটি মামলাতেই ‘শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে তল্লাশি চলছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ মোট ছ’জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রে খবর, আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত ব্যবসায় ‘অনিয়ম’ নিয়ে তারা নতুন একটি ইসিআইআর বা অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত। আমদানি-রফতানির ব্যবসায় জমি-ভেড়ির টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল কি না, সীমান্তের ও পারেও মাছ বা অন্যান্য সামগ্রী রফতানি করা হত কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ ইডির আধিকারিকেরা হাওড়ার হালদারপাড়া এবং কলকাতার বিজয়গড়ের একটি ঠিকানায় তল্লাশি শুরু করেছেন। তা ছাড়াও আরও চারটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

হাওড়ার হালদারপাড়ায় পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। স্থানীয়দের কয়েক জনের দাবি, অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে প্রবীণ এই ব্যবসায়ী চিংড়ি মাছের ব্যবসাও করতেন। বিজয়গড়ে তল্লাশি চলছে আর এক ব্যবসায়ী অরূপ সোমের বাড়িতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল শাহজাহানের। মূলত আমদানি-রফতানির ব্যবসা করতেন এই ব্যবসায়ীরা।

বিরাটির একটি ঠিকানাতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সেখানে অরুণ সেনগুপ্ত নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চলছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর চিংড়ি রফতানির ব্যবসা ছিল। শাহজাহানের কাছ থেকে চিংড়ি মাছ কিনতেন তিনি। তল্লাশির সূত্রেই ‘ম্যাগনাম’ বলে একটি সংস্থার নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। যদিও ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির এক কর্মচারীর দাবি, ম্যাগনামের ডিরেক্টর পদে ছিলেন না অরুণ।

রেশন দুর্নীতি মামলায় গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে ইডির তল্লাশি করতে যাওয়া এবং আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আর দেখা মেলেনি তাঁর। শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে ভেড়ি বানানো, মুরগির খামার বানানোর অভিযোগ ওঠে। গ্রামবাসীদের অনেকের মাছের ভেড়ি লিজ়ে নিয়ে টাকা না দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। ফেব্রুয়ারির গোড়া থেকেই এই নিয়ে শাহজাহানদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সন্দেশখালির বাসিন্দাদের বড় অংশ। শাহজাহানদের সুবিশাল ‘ভেড়ি-সাম্রাজ্য’ নিয়ে চর্চা শুরু হয় তার আগে থেকেই। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও ‘বেপাত্তা’ শাহজাহান।


You might also like!