kolkata

3 hours ago

Abhishek Banerjee: ‘এমপি’দের টেনে হিঁচড়ে ধরা—দিল্লি পুলিশের কাণ্ডে ফুঁসে উঠলেন অভিষেক!

TMC MP Abhishek Banerjee
TMC MP Abhishek Banerjee

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে দিল্লি পুলিশের বর্বরতার তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিল্লি রওনা হওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দর থেকে তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলছিল, কিন্তু দিল্লি পুলিশ বর্বরতার পরিচয় দিয়ে মহিলা সাংসদদের চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে গিয়েছে।” হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও জানান, এভাবে ভয় দেখিয়ে তাঁদের দমিয়ে রাখা যাবে না, প্রয়োজনে ফের কমিশন ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হবে।

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) নামে ‘ভোটচুরি’র প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদ ভবন থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা শুরু করেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। লক্ষ্য ছিল নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে, তা অনুমান করে কমিশনের তরফে বিরোধী শিবিরকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, এই ইস্যুতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত কমিশন। তবে তার আগেই সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে পড়ে মিছিল। মিছিল কিছুটা দূর এগোতেই ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকায় পুলিশ। পালটা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন সাংসদরা। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। 

পুলিশি বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন সাংসদরা। ছিলেন, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। অন্যদিকে শাড়ি পরেই ব্যারিকেডের উপর চড়েন মহুয়া, সুস্মিতা-সহ তৃণমূলের সাংসদরা। ব্যারিকেড টপকাতে দেখা যায় সপা সাংসদ অখিলেশ যাদব, ভূপেন্দ্র যাদবদের। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, নরেন্দ্র মোদি চোর হ্যায়’। এদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে মিছিল আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা চলে। দুপক্ষের ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মহুয়া মৈত্র, মিতালি বাগ। এ নিয়ে সোমবারই সোশাল মিডিয়ায় বিজেপিকে একহাত নেয় তৃণমূল। ঐক্য়বদ্ধ হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেয় তাঁরা। মঙ্গলবার বিমানবন্দর থেকে কার্যত একই কথা বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এদিন অভিষেক বলেন, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলছিল গতকাল। অশান্তি ছিল না। ৩০০ জনপ্রতিনিধি গিয়েছিলেন, ৫ থেকে ৭টি প্রশ্নের জবাব চাইতে। নির্বাচন কমিশনের অফিস পর্যন্ত পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। মহিলা সাংসদদের চুলের মুঠি ধরে নিয়ে গিয়েছে অতিসক্রিয় দিল্লি পুলিশ।” এরপরই লড়াই জারি রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। 

You might also like!