Breaking News
 
Kolkata Metro: পুজোর আগে বড় খবর! মেট্রো স্মার্ট কার্ডের দাম কমছে, জেনে নিন নতুন মূল্য। Rahul Gandhi : আধার-সংযুক্ত ফোন নম্বর বাধ্যতামূলক নয়, অনলাইনে ভোট মুছতে কমিশনের পদক্ষেপের পর রাহুলের অভিযোগ Ladakh unrest: লাদাখের 'গণবিক্ষোভ', জ্বলল পুলিশ ভ্যান, বিজেপি দপ্তরে হামলা, রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে উত্তাল লাদাখ। Mamata Banerjee: কলকাতার দুর্যোগে মৃতদের পরিবারকে দিচ্ছেন ২ লক্ষ টাকা ও চাকরি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর Chandranath Sinha: পুজোর আগে স্বস্তি! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার অন্তর্বর্তী জামিন Heavy rain cripples Kolkata: কলকাতায় বৃষ্টির জমা জলে নিহত ৮ জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি মেয়রের!

 

Festival and celebrations

1 year ago

Durga Puja 2023 : অষ্টমীর গভীর রাতে গুপ্ত পূজার মাধ্যমে দেবীকে আজও উৎসর্গ করা হয় নররক্ত

Cooachbehar Rajbari Durga Puja (Collected)
Cooachbehar Rajbari Durga Puja (Collected)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলার ইতিহাসে কোচবিহার রাজবাড়ির গুরুত্ব অপরিসীম। ১৮৮৭ সালে বাকিংহাম প্যালেসের আদলে নির্মিত হয় কোচবিহার রাজবাড়ি। যে রাজবাড়ির দায়িত্বে এখন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ।নরনারায়ণ থেকে নৃপেন্দ্রনারায়ণ, কুমার গজেন্দ্র নারায়ণের হাজারও কাহিনি। এ বাড়ির ইতিহাসে কেশব কন্যা সুনীতি দেবী, ইন্দিরা কিংবা গায়ত্রী দেবী জড়িয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। মনে করা হয় এই বাড়ির রাজা নরনারায়ণের অহমরাজকে লেখা চিঠিটি বাংলা গদ্য সাহিত্যের আদি নিদর্শন।

পুরা কালে রাজারা রাজপ্রাসাদ ছেড়ে হাতির পিঠে চড়ে দেবী বাড়ির পুজোয় আসতেন। কোচবিহারের রাজাধিরাজের সঙ্গে আসত রাজসিংহাসন। দেবী বাড়ির রাজসিংহাসনে বসে প্রজাদের মুখোমুখি হতেন কোচবিহারের রাজা। এখন রাজবাড়ি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের রক্ষণাবেক্ষণে চলে এবং পুজো হয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে।

এ বাড়িতে খাগের কলমে লেখা তাল পাতার কাগজের উপর দেবনাগরী হরফের একটি পুঁথির কথা শোনা যায়। এই পুঁথির বয়স ৬০০ থেকে ৬৫০ বছর পুরনো। একসময় এই পুঁথি শোভা বর্ধন করত রাজবাড়ির রাজমাতার নিজস্ব মন্দিরে। পরবর্তী কালে এই পুঁথি সংরক্ষিত হয়ে আছে মদনমোহন বাড়িতে। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, মদনমোহনের নিত্যপুজো ছাড়াও জগদ্ধাত্রী, গন্ধেশ্বরী, মহালক্ষ্মী, বিপত্তারিণী এবং মা ভবানী পুজোর নিয়ম-নীতি লিখিতভাবে রয়েছে এই পুঁথিতে।

কোচ রাজবংশের কুলদেবী অষ্টধাতুর ভবানী দুর্গা মূর্তির অনুকরণে দূর্গা পুজোর মূর্তিটি তৈরি করা হয়। মা দুর্গার কোচবিহার রাজবাড়ির দুর্গাপ্রতিমাটি একেবারে ভিন্নধারার। এখানে দুর্গার পাশে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক এবং গণেশের জায়গায় থাকে দুর্গার দুই সহচরী জয়া এবং বিজয়া। দুর্গার বাহন এখানে সিংহ নয়, বাঘ। মায়ের মুখ আজও তৈরি হয়ে আসছে তুফানগঞ্জ মহকুমার চামটা গ্রামে মহারাজাদের নির্দিষ্ট জমির মাটি থেকে। বড় দেবী এবং মদনমোহন বাড়ির পুজো শুরু হয় মহালয়ার দিন থেকে। মহালয়ার দিন ঘট বসে। তার পর থেকে একটানা সাত দিন অর্থাৎ দশমী পর্যন্ত বিভিন্ন রীতিনীতি মেনে পুজো করা হয়। অষ্টমী তিথিতে গভীর রাতে গুপ্ত পূজার মাধ্যমে দেবীকে উৎসর্গ করা হয় নররক্ত। এখনও অষ্টমীর পুজোয় পায়রা, পাঁঠা এবং মহিষ বলি হয়।

এক সময় পুজোয় হত নরবলি। মহারাজা নরেন্দ্র নারায়ণ তা বন্ধ করে দেন। সে সময় থেকে নরবলির জায়গায় নর-রক্ত উৎসর্গ করার রেওয়াজ শুরু হয়। বলি দেওয়া হয় চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি মানুষের প্রতীক একটি পুতুলকে। আজও কোচবিহারের কালজানি গ্রামের শিবেন রায়ের পরিবার প্রতি বছর নর-রক্ত দিয়ে থাকে। নবমীতে থাকে অন্নভোগ। বোয়াল মাছ দিয়ে রান্না করা হয় খিচুড়ি।এ ছাড়া মহারাজা নরেন্দ্রনারায়ণের আমলে তিন দিন বলি প্রথা বজায় ছিল। ছাগ, মহিষ, কচ্ছপ ও পাখি বলি হত। মহারাজ নিজে মহিষ বলি দিতেন। একবার বাঘ অবধি বলি দিয়েছিলেন।

বিজয়া দশমীতে সকালবেলায় বড়দেবী দূর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য রাজবাড়ির নিজস্ব যমুনা দিঘিতে নিয়ে যাওয়া হয় , বিসর্জনের আগে পুকুর ঘাটে হালুয়া পুজো হয়। পুজোয় যে রাজকর্মচারী ফুল যোগান দিয়ে থাকে, তাকে বলে হালুয়া। পুজো শেষে প্রতিমা খন্ড খন্ড করে নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোচবিহার রাজপরিবারের সদস্যদের দেখা নিষিদ্ধ বলে তারা এই বিসর্জনে অনুপস্থিত থাকেন।

পুরা কালে রাজপ্রাসাদ সংলগ্ন মাঠে মহারাজা হাতির পিঠে বসে খঞ্জন বা খঞ্জনা পাখি উড়িয়ে দিতেন। খঞ্জন পাখি যে দিকে উড়ে যেত মহারাজাও সেই দিকে যেতেন যা 'দিক বিজয়' নামে পরিচিত ছিল। খঞ্জন পাখি ছেড়ে দেওয়ার পর রাজপ্রতিনিধি দুয়ারবক্স বা বক্সী দা দিয়ে একটি কুমড়ো বলি দেওয়ার প্রথা ও রয়েছে এই রাজবাড়িতে। 

You might also like!