দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে সাহসিকতা ও কৃতিত্বের নজির গড়ে সেনার স্থায়ী জওয়ানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন অগ্নিবীররা। পাকিস্তানের সঙ্গে চলা সাড়ে তিন দিনের সংঘর্ষে প্রায় সাড়ে চার হাজার অগ্নিবীর অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের অসামান্য ভূমিকায় খুশি সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা। সেই সন্তুষ্টির জেরেই এবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ গেছে অগ্নিবীরদের আরও বেশি সংখ্যায় স্থায়ী চাকরিতে নিয়োগ করার। সূত্রের খবর, তিন বাহিনীর (স্থল, নৌ ও বায়ু) প্রধানই অগ্নিবীরদের কর্মদক্ষতায় মুগ্ধ। তাঁরা চেয়েছেন, নির্ধারিত ১০ শতাংশের পরিবর্তে অনেক বেশি সংখ্যক অগ্নিবীরকে স্থায়ী করা হোক। কিছু ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৮০-৯০ শতাংশ পর্যন্তও যেতে পারে। পাশাপাশি বাড়তে পারে অগ্নিবীরদের চাকরির মেয়াদও। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে, সেনায় স্বল্প মেয়াদের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক অনেকটাই প্রশমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করে কেন্দ্র। এর অধীনে সেনাবাহিনীতে চার বছরের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে অগ্নিবীরদের নিয়োগ শুরু হয়। প্রকল্প অনুযায়ী, চার বছরের মেয়াদ শেষে মাত্র ১০ শতাংশ অগ্নিবীরকে স্থায়ী কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। বাকি ৯০ শতাংশ কর্মীর ভবিষ্যৎ নিয়ে তখন থেকেই উঠেছিল নানা প্রশ্ন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে—বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে—বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল বহু চাকরিপ্রার্থী। অপারেশন সিঁদুরে সফল অগ্নিবীরদের পারফরম্যান্স সেই সমালোচনাকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। এখন সরকারের ভাবনায়, কীভাবে সেনায় অগ্নিবীরদের আরও কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায় এবং তাদের বয়স ও দক্ষতা বজায় রেখে ভবিষ্যৎ নিরাপদ করা যায়। সেনার আধুনিকীকরণ এবং লোকবলের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে অগ্নিপথ প্রকল্প চালু হলেও, বাস্তব ময়দানে অগ্নিবীরদের ভূমিকা এই প্রকল্পকে নতুন স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। এবার সেই পথ ধরেই হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, সরকার কত দ্রুত এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করে সেটাই এখন দেখার।