শিলং, ১৪ আগস্ট : বাংলাদেশি সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে মেঘালয় সীমান্ত সিল করে কড়া নজরদারি অব্যাহত রেখেছে বিএসএফ।
আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিম খাসিপাহাড়ের পুলিশ সুপার বি জিরওয়া এ খবর দিয়ে জানান, মেঘালয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সমস্ত পালানোর পথ বন্ধ করে দিয়েছে বিএসএফ। কারণ, গত ৭ আগস্ট মধ্যরাতে রংডাঙ্গাই গ্রামে আট থেকে নয়জনের একটি সশস্ত্র দল প্রবেশ করে স্থানীয় দোকানদার জনৈক বালসরাং এ মারাকের ওপর হামলা করে নগদ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। মারাককে ছুরিকাঘাত করে তাকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল সশস্ত্র বাংলাদেশিরা। এদের মধ্যে ছয় দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও তিন-চার দুষ্কৃতী সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছে।
পুলিশ সুপার বি জিরওয়া জানান, মাজেরসোরা-হাথিনালা বনাঞ্চলে আত্মগোপনকারী সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করতে কে-৯ ডগ স্কোয়াড নিয়ে পুলিশ এবং বিএসএফ যৌথ অভিযান চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট মধ্যরাতে হামলাবাজ বাংলাদেশিদের সঙ্গে মেঘালয় পুলিশ ও বিএসএফ-এর যৌথবাহিনীর সঙ্গে খঞ্জয় এবং গিলাগোরা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে চার বাংলাদেশিকে ধরা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন আহত হয়েছিল। আহত ব্যক্তিটি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল। সেই হামলাবাজদের গ্যাং লিডার ছিল। কড়া নজরদারির মধ্যে হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
এছাড়া গত ১১ আগস্ট বাংলাদেশি হামলাবাজ এক অনুপ্রবেশকারীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন কাইথাকোণা গ্রামের বাসিন্দারা। তাকে বাংলাদেশের শেরপুর জেলার জেনাঘাটির বাসিন্দা জনৈক আকরাম বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
এদিকে বিএসএফ মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল ওপি উপাধ্যায় জানান, গত ১২ আগস্ট যৌথ বাহিনীর অভিযানে একটি দেশীয় বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ইন্সপেক্টর জেনারেল উপাধ্যায় জানান, ৭ আগস্ট ঘটনার রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশের একটি পরিচয়পত্র, তিনটি মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশন, তিনটি ওয়্যারলেস হ্যান্ডসেট, একটি কুড়াল, একটি কাঁটাতার কাটার যন্ত্র, একটি ছোট ছুরি, তিনটি মাইক্রো-এক্সপ্লোসিভ, কিছু বাংলাদেশি টাকা এবং ভারতীয় রুপি (টাকা) ইত্যাদি।