ব্যারাকপুর, ২০ মে :বিরিয়ানি খাওয়ার নাম করে কলকাতা ও শহরতলির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা। এবার সেই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, বিরিয়ানি খাওয়ার অজুহাতে ব্যারাকপুরের সেনা ক্যান্টনমেন্ট, এয়ারফোর্স স্টেশন, হ্যাল এবং ইছাপুর অস্ত্র কারখানার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলির তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করাই ছিল জ্যোতির মূল উদ্দেশ্য।
হরিয়ানার বাসিন্দা ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা সম্প্রতি পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হন। জানা গেছে, কলকাতার পার্ক সার্কাসের ‘আর্সালান’ থেকে শুরু করে ব্যারাকপুরের বিখ্যাত ‘দাদা–বৌদির বিরিয়ানি’র দোকানেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাংলার ইউটিউবার সৌমিত ভট্টাচার্যের সঙ্গে জ্যোতি ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই সমস্ত এলাকায়। মঙ্গলবার জগদ্দলের মজদুর ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে অর্জুন সিং দাবি করেন, “এইভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। আর সেটা করা হচ্ছে খাবারের অজুহাতে। বিরিয়ানি খাওয়ার আড়ালে স্পষ্টতই তথ্য সংগ্রহ চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা বহু ব্যক্তি এখানে বসবাসের নথি বানিয়ে নিচ্ছেন। পঞ্চায়েত প্রধান বা কাউন্সিলরদের দেওয়া রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট ব্যবহার করেই তারা ভোটার কার্ড, আধার ও রেশন কার্ড পেয়ে যাচ্ছে। এরফলে দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।” এই পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত প্রধান বা কাউন্সিলরদের এই নথি প্রদানের ক্ষমতা অবিলম্বে কেড়ে নেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, ব্যারাকপুর সেনা ক্যান্টনমেন্ট দেশের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ক্যান্টনমেন্ট। তার আশেপাশে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে জ্যোতি মালহোত্রার 'বিরিয়ানি ভ্রমণ' এখন তদন্তকারীদের কড়া নজরে।