দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আগে রবিবারের তৃণমূলের ব্রিগেড শুধু যে চমকে ভরা ছিল না, ছিল অতি-নাটকীয়তায় মোড়াও ৷ বাংলার 42টি লোকসভা আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হল। কালীঘাট ছেড়ে এই প্রথম জনসমক্ষে এমন ঘোষণা হল। সেটা অবাক করে দেওয়ার মতোই। পাশাপাশি, তালিকার বেশ কিছু নতুন নাম দেখে 'থ' রাজনৈতিক মহল ৷ চমকের মাত্রা আরও বাড়িয়ে কলম্বো থেকে উড়িয়ে আনা হল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে। এমনও যে হয় তা কল্পনা করতে পারেননি অনেকেই।
ইউসুফ পাঠানের নাম বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে স্বয়ং অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ইউসুফ।কিন্তু ইউসুফের তৃণমূল প্রার্থী হওয়া নেপথ্যের কাহিনি হার মানাবে বলিউডের থ্রিলারকেও। রবিবারের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কারও সঙ্গেই মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেননি ইউসুফ। অবাক করার মতো হলেও মমতা-অভিষেকের সঙ্গে ইউসুফ পাঠানের প্রথম দেখা ব্রিগেডেই।
ইউসুফের অন্যতম প্রিয় বন্ধু মনোজ তিওয়ারি রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী। বন্ধুকে দলে পেয়ে বলছিলেন, ‘‘একসঙ্গে আইপিএল জিতেছি। এ বার একসঙ্গে লোকসভা নির্বাচনও জিতব।’’
শ্রীলঙ্কায় লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন ইউসুফ। রবিবার সকালেই কলম্বো থেকে আসেন কলকাতায়। রাতে ফিরেও যান কলম্বোয়। ইউসুফ জানেন, বহরমপুরে লড়াই কঠিন। বললেন, ‘‘এত দিন মাঠে লড়াই করে জিতেছি। শুনেছি প্রতিপক্ষ খুব শক্তিশালী। এ বার রাজনীতির ময়দানে তাঁর সঙ্গে লড়াই হবে। ফল তো আমার হাতে নেই। জনগণ যা ঠিক করবেন, তাই হবে।’’ এ-ও বলেন, ‘‘ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেই বহরমপুরে থাকতে শুরু করব। চেষ্টা করব সকলের সমস্যা শোনার। কার কোথায় অসুবিধা হচ্ছে, জানার চেষ্টা করব।’’
আইপিএল জেতার সুখস্মৃতি ভুলতে পারেননি। এ বার রাজনীতির উইকেটে তৃণমূলের হয়ে জিতে নতুন ইনিংস শুরু করতে মরিয়া প্রাক্তন ভারতীয় তারকা। কিন্তু জিততে কি পারবেন? ইউসুফ বলে গেলেন, ‘‘দেখা যাক। খেলা হবে!’’