দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ স্বাস্থ্য ভবনের নিয়মানুযায়ী শহর ও জেলার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং অন্যান্য হাসপাতালে সকাল ৯টায় চালু করতে হবে বহির্বিভাগ। কিন্তু অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালই সেই নিয়ম মেনে চলছে না। এই পর্যবেক্ষণ খোদ স্বাস্থ্য ভবনের। কারণ, ওই নির্দিষ্ট সময়ে পরিষেবা চালু হওয়ার মিনিট পনেরোর মধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। অধিকাংশ হাসপাতালই যা করছে না।
বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রথম দিকে সকাল ৯টায় বহির্বিভাগ চালু করে সওয়া ৯টার মধ্যে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে রিপোর্ট জমা পড়ছিল। কিন্তু সম্প্রতি অধিকাংশ হাসপাতালই আর সেটা করছে না।’’ ফলে, ওই সমস্ত হাসপাতাল যে সকাল ৯টায় বহির্বিভাগ পুরোদমে চালু করছে না, তা বোঝা যাচ্ছে বলেও মত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, ঠিক সময়ে পরিষেবা চালু না হওয়ার কারণেই দুপুর-বিকেল পর্যন্ত বহু বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড় থাকছে। রোগীদের ডাক্তার দেখাতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাতে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতি যেমন অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, তেমনই চিকিৎসা পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
শহর ও জেলার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং অন্যান্য হাসপাতালে আসা রোগীদের একটি বড় অংশের তরফে প্রতিদিনই অভিযোগ ওঠে, বহির্বিভাগ ঠিক সময়ে চালু হচ্ছে না। আবার হলেও, সেখানে সিনিয়র চিকিৎসকেরা ঠিক সময়ে আসছেন না। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ, সুপার, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে রিপোর্ট পাঠানোর ওই নিয়ম মেনে চলতেই হবে। প্রতিটি জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (১)-কে নোডাল অফিসার করা হয়েছে। তাঁকে দায়িত্ব নিয়ে দেখতে হবে, ওই জেলার সমস্ত হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট জমা পড়ছে কি না। আবার, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সকাল ৯টায় বহির্বিভাগ চালু করা এবং ৯টা ১৫-র মধ্যে সেই রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো নিশ্চিত করতে উপাধ্যক্ষকে সহযোগিতা করবেন অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল সুপার।