দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিতর্কের মাঝে নতুন মোড় এসেছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার জানান, আরজি করের নির্যাতনের অভিযোগকারী পিতা আদালতে নিজের দাবির প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যাঙ্কশাল আদালতের ১৫ নম্বর এজলাসে এই মামলার শুনানিতে কুণাল বলেন, “এই অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দেওয়ার বদলে তিনি পিছিয়ে গেলেন। এটি তো রণেভঙ্গ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি। কথাটা তো তিনি নিজেই বলেছেন, সাংবাদিকদের ডেকে ডেকেও বলেছেন।” পাশাপাশি কুণাল অভিযোগ করেন, এটি ছিল অভিযোগকারীর আইনজীবীর সময় নষ্ট করার কৌশল।
প্রমাণ ছাড়া যে ভাবে কথা বলা হয়েছে, এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কুণাল। নির্যাতিতার পিতার উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আজকে প্রমাণ হয়ে গেল যে, আপনার হাতে কোনও প্রমাণ নেই। আপনি মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। যদি আপনার হাতে প্রমাণ থাকত, তা হলে আপনার আইনজীবী সময় না চেয়ে বুক চিতিয়ে বলতেন আমার ক্লায়েন্ট কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে, এই হল তার প্রমাণ। কিন্তু তা না করে আপনারা রণেভঙ্গ দিলেন।’’ নভেম্বরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, আরজি করের নির্যাতিতার পিতা অভিযোগ তুলেছিলেন, সিবিআই ঘুষ খেয়ে তদন্ত নষ্ট করছে। রাজ্য সরকার টাকা দিয়েছে। কুণাল ঘোষ সিজিওতে গিয়ে ‘সেটল’ (রফা) করেছেন। নির্যাতিতার পিতার সেই মন্তব্যের ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছিলেন কুণাল। পাল্টা তিনি একটি লেখা পোস্ট করে জানান, নির্যাতিতার পিতা ক্ষমা না চাইলে আদালতে এসে বলেছেন, তার প্রমাণ দিতে হবে। নির্যাতিতার পিতা দাবি করেন, তাঁদের কাছে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। সেগুলি তাঁরা আদালতে জমা দেবেন। এমনকি কুণাল আতঙ্কে রয়েছেন বলেও সেই সময় দাবি করেছিলেন তিনি।মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া অভিযোগ তুলে তার পরই গত অগস্টে আদালতে নির্যাতিতার পিতার বিরুদ্ধে মামলা করেন কুণাল। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জানান, নির্যাতিতার পিতার বিরুদ্ধে আইনজীবী মারফত কলকাতার কলকাতার মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে (ব্যাঙ্কশাল কোর্ট) মামলা করেছেন। আদালতের নোটিসের ছবি পোস্ট করে কুণাল জানিয়েছেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় নির্যাতিতার পিতা বা তাঁর আইনজীবীকে কোর্টে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। তার পরই কুণাল দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, আদালতে তার প্রমাণ দিতে পারেননি নির্যাতিতার পিতা।