দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকাদের দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টা। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড়তলা থানা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সম্ভাব্য পাচার রুখল গোয়েন্দা পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯ জন নাবালিকাকে। ঘটনায় এক দম্পতিসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
ধৃতরা হল অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী সরস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া ধৃতদের তালিকায় রয়েছে সুমন হালদার, পূজা মিস্ত্রি, দীপ চট্টোপাধ্যায় এবং আকাশ চৌধুরী। তদন্তকারীদের দাবি, অমিত এবং সরস্বতী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তারা বড়তলা থানা এলাকার বাসিন্দা। নাবালিকাদের পাচারের আগে তাদের বাড়িতেই রাখা হয়েছিল। সুমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের বাসিন্দা। পূজা দমদম ক্যান্টনমেন্টে থাকে। ধৃত আকাশ ও দীপের বাড়ি শ্যামনগরে। পুলিশ সূত্রে খবর, চাকরির টোপ দিয়ে নাবালিকা, তরুণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত ওই ধৃতেরা। এরপর তাদের দেহব্যবসায় কাজে লাগানো হত। ওই নাবালিকাদের পাচারের ছক ছিল বলেও অনুমান তদন্তকারীদের। তবে তার আগেই উদ্ধার হয়েছে নাবালিকারা।
বলা বাহুল্য, নারী পাচারের ঘটনা এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। প্রান্তিক জেলা থেকে দরিদ্র পরিবারের কিশোরীদের কাজের টোপ দিয়ে পাচারের ঘটনা হামেশাই ঘটে। কখনও দিল্লি মুম্বই বা অন্য কোনও মেট্রোসিটির পতিতাপল্লিতে ঠাঁই মেলে সেই সব কিশোরীদের। কেউ বা দালাল মারফৎ পাচার হয়ে যায় বিদেশেও। অনেকে বিনা পারিশ্রমিকেই পরিচারিকার কাজ করে। সেই বাড়িতে শারীরিক মানসিক অত্যাচারেরও শিকার হয়। শিশুপাচার করে শ্রমিকের কাজ করানো একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। তবে গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় এবার রক্ষা পেল ৯ জন নাবালিকা। ঘটনার পর গ্রেপ্তারদের দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। ঠিক কারা এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত, নাবালিকাদের কোথায় পাচার করার ছক কষা হচ্ছিল—সেসব তথ্য জানতেই চলছে তদন্তকারীদের তৎপরতা।