দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃসন্দেশখালিকাণ্ডের আবহে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উপর হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক-সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে ডেকে পাঠিয়েছে লোকসভার স্বাধিকার কমিটি (প্রিভিলেজ কমিটি)। সোমবার বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক শরদ দ্বিবেদী, জেলার পুলিশ সুপার হোসেম মেহেদি রহমান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষও এ ব্যাপারে তাঁদের অপারগতার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। শুধু তা নয়, নবান্ন সূত্রের দাবি, এ ব্যাপারে সংসদের প্রিভিলিজে কমিটির নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। সুকান্ত বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ। তিনি লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি তথা স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁকে নৃশংস ভাবে মারধর করা হয়েছে। সাংসদ হিসাবে তাঁর যে মর্যাদা পাওয়ার কথা, সেই সুলভ আচরণ তাঁর সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ বা প্রশাসন করেনি।
নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, সংসদীয় প্রিভিলেজ কমিটিকে জানানো হয়েছে, মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি ব্যস্ত রয়েছেন। ৪ মার্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ কলকাতায় আসছে। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশাসনের প্রচুর কাজ রয়েছে। তাই তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়ার দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া হোক।
কিন্তু এ কথা বলার পাশাপাশি সংসদীয় কমিটির নোটিসকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করল নবান্ন। মুখ্য সচিব হলেন প্রশাসনের প্রধান। তিনি এ ব্যাপারে মামলা করতে পারেন সর্বোচ্চ আদালতে।
নবান্ন কর্তারা মনে করছেন, গোটা বিষয়টির নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনকে খামোখা হেনস্থা করা হচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালি অভিযানে যাচ্ছিলেন। যা তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে তাঁকে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। এরপর যদি ডিজি ও মুখ্য সচিবকে দিল্লিতে ডাকা হয় তা হলে তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আগামী দিনে বিজেপি সাংসদরা এভাবে রাজনৈতিক অভিযান করলে এবং আইনশঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তাঁদের গতিবিধি নিয়ে আপত্তি করলেই তো দিল্লিতে ডাকা সরকারের আমলাদের এই প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার জন্য ভাল নয়।