দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির উদ্দেশে যে প্রশ্ন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ তাতে জল্পনা বাড়ল। ইডিকে তাঁর প্রশ্ন, ''দেড় বছরের বেশিদিন ধরে তদন্ত করার পরও এখনও তদন্ত চলছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কি আর হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে?''
নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর একাধিকবার জামিন চেয়েছেন পার্থ। শারীরিক অসুস্থতার প্রসঙ্গ তুলেও জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ইডির তরফে তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা করা হয়। ইডির দেওয়া রিপোর্ট দেখে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি ঘোষ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়ও সোমবার লিখিত নথি জমা দিয়েছে
পার্থর আইনজীবী ফের একবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ''টাকা পাওয়া গেছে অর্পিতার কাছ থেকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। আর তিনি তো অর্পিতাকে চেনে না বলছেন না। কিন্তু তাঁকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।'' এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ এপ্রিল। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন।
নিয়োগ মামলায় আগেও পার্থর আইনজীবী সব দোষ অর্পিতার দিকেই ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ২০২২ সালের জুলাইয়ে অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কারও। সেই সম্পত্তি উদ্ধারের বিষয় নিয়ে তিনি আদালতে দাবি করেছিলেন, অর্পিতার সম্পত্তির সঙ্গে পার্থর যোগ থাকবে এমনটা নয়। অর্পিতার সম্পত্তি মানেই যে পার্থর সম্পত্তি হবে, এমন কোনও মানে নেই।