দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বিরাটিতে বহুতলের একাংশ ভেঙে মহিলার মৃত্যু ঘটনায় গ্রেফতার ৬ । ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওই বিল্ডিয়ের প্রোমোটারও । পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
শনিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে উত্তর দমদম পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎচন্দ্র কলোনিতে। নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের পাশেই থাকতেন কেয়া শর্মা। মোবাইলে কথা বলার সময় ঘটে দুর্ঘটনাটি। ওই ঘটনায় কেয়াদেবীর স্বামী সুদীপ শর্মা চৌধুরী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে রাতেই এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই তদন্তে নেমে ৬জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে এদিন সকালে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আমি ভাবতাম, উপর মহল থেকে নির্দেশ দিলেই কাজ হয়ে যায়। কিন্তু সেটা যে হয় না, তা দেখতে পাচ্ছি। আমার দুর্ভাগ্য যে এত চেষ্টা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা আটকাতে পারছি না।"
ফিরহাদ আরও জানান, "এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী দিনে এমন নিয়ম করব, যাতে বেআইনি নির্মাণ করতে গেলে প্রোমোটারের পা কাঁপে।"
শনিবার দুর্গটনার পর রাতে স্থানীয় পুর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মৃত মহিলার স্বামী। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "৮ ফুটের রাস্তায় কীভাবে চারতলা বহুতল নির্মাণ হয়? পাশেই স্থানীয় কাউন্সিলরের অফিস। তাঁর অনুমতি ছাড়া নিশ্চয়ই প্রোমোটার এই কাজ করার সাহস পাবেন না।"
যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর মহুয়া শীলের অবশ্য দাবি করেছিলেন, ‘‘বহুতল ভেঙে পড়েনি। নির্মীয়মান বিল্ডিং থেকে ইট খসে মাথায় পড়ে মহিলার মৃত্যু হয়েছে।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ বহুতলের নীচে দাঁড়িয়ে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই মহিলা। আচমকাই ওই বহুতলের এক টুকরো চাঙড় খসে পড়ে তাঁর মাথায়। বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে যেভাবে প্লাস্টিক দিয়ে ঘিরে রাখা হয়, এক্ষেত্রে সেটিও ছিল না। তা না হলে মৃত্যু ঠেকানো যেত বলেও মনে করা হচ্ছে।