কলকাতা, ২২ মে : বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, এমনটাই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, একটি ঘূর্ণাবর্ত বর্তমানে পূর্ব বাংলাদেশ এবং তৎ সংলগ্ন এলাকার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১.৫ থেকে ৫.৮ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করছে। হরিয়ানা থেকে উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে পূর্ব বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। যা রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১.৫ কিলোমিটার উপরে। একই সঙ্গে, আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর উপকূলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩.১ কিলোমিটার উপর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এর প্রভাবে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বলয় তৈরি হতে পারে বুধবারই, পরে সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে শুক্রবার নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। আরও শক্তি বৃদ্ধি করে সেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতিও সাগরে তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। নিম্নচাপ তৈরি হলে শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। শনিবার দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বর্ষণ শুরু হতে পারে। এই তিন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আগামী শুক্রবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।
আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগর, অর্থাৎ উত্তর ভারত মহাসাগরে তৈরি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দফতর। ২০২০ সালে আইএমডি-র তরফে ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা দেওয়া হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে তালিকা অনুযায়ী সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘রামেলা’। তবে এখনও আবহাওয়া দফতরের তরফে এই নাম ঘোষণা করা হয়নি। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি তৈরি হলে, তবেই ঘোষণা হবে নাম