kolkata

1 year ago

Student Harassment : ছাত্রকে ‘মারধর’-র অভিযোগ দায়ের হল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

A complaint was filed against the head teacher (Symbolic Picture)
A complaint was filed against the head teacher (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গল্ফ গ্রিন থানা এলাকার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই পড়ুয়ার বাবা গল্ফ গ্রিন থানায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, গান্ধী কলোনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর ছেলেকে এমন মারধর করেছেন যে, সে বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয়। আরও অভিযোগ, ওই ছাত্র এখন এতটাই আতঙ্কিত যে, স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের দাবি, ওই অভিভাবকের অভিযোগ মিথ্যা। শৃঙ্খলা শেখাতে গিয়ে স্কেল দিয়ে খুব হালকা ভাবে ওই ছাত্রের পিছনে আঘাত করেছিলেন তিনি। 

‘প্রহৃত’ ছাত্রের বাবা পেশায় একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার গোয়েন্দা। তিনি বলেন, ‘‘সোমবার টিফিন পিরিয়ডের পরে ছেলে ক্লাস মনিটরকে বলেই শৌচালয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ে করিডরে প্রধান শিক্ষক ঘুরছিলেন। তিনি জানতে চান, কেন সে টিফিনের পরে বাইরে ঘুরছে। ছেলে জানায়, ও শৌচালয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ওকে হঠাৎ বেধড়ক মারতে শুরু করেন। এমনকি, বুট দিয়ে পায়েও আঘাত করেন। তাতে ওর পা ফুলে গিয়েছে। মাথাতেও লেগেছে।’’ তাঁর দাবি, এর পরে ক্লাসে গিয়ে ছেলে কাঁদতে থাকে। ছুটির পরে মাকে ঘটনাটি জানায় সে। বাবার দাবি, ছেলে ভাল করে দাঁড়াতে পারছিল না। তাই হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেলেকে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল। চিকিৎসকেরা তাকে বাড়িতে এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখতে বলেছেন বলেও দাবি পরিবারের। বাবার বক্তব্য, ছেলের যা মানসিক অবস্থা, তাতে ওই স্কুলে আর তাকে রাখতে পারবেন না বলেই মনে করছেন তিনি।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক যদিও বলেন, ‘‘কোনও পড়ুয়া দুষ্টুমি করলে বেধড়ক মারধর করব, এমন মানসিকতা আমার নেই। তবে, আমরা বার বার বলেছি যে, টিফিনের পরে কেউ যেন ক্লাসের বাইরে না ঘোরে। শৌচালয়ে যাওয়ার থাকলে টিফিনের সময়ে যাক। টিফিন অনেক ক্ষণ ধরে চলে। তার পরেও কেন পড়ুয়ারা বাইরে ঘুরবে? এই নিয়ম মানতে শেখানো হয় শৃঙ্খলা আনার জন্য। ওই ছাত্রকে বাইরে ঘুরতে দেখে আমি ছোট স্কেল দিয়ে ওর নিতম্বে হালকা আঘাত করি। এর থেকে বেশি কিছু নয়।’’

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘ওই পড়ুয়া আমার পুত্রসম। ওকে শৃঙ্খলা শেখাতেই স্কেল দিয়ে সামান্য আঘাত করেছিলাম। তার জন্য যে থানা-পুলিশ হবে, ভাবতে পারিনি।’’ গল্ফ গ্রিন থানা জানিয়েছে, অভিযোগ তারা পেয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

You might also like!