দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে দুই দশকের কাছাকাছি সময় পেরিয়ে এসেছে ফেসবুক। এক সময়ে তরুণ প্রজন্মের সোশ্যাল মিডিয়া হটস্পট এখন অনেকটাই পরিণত বয়সের প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত। তবুও হারানো জনপ্রিয়তা ফেরাতে মরিয়া মেটা। আর সেই চেষ্টাতেই তারা ফিরিয়ে আনছে ফেসবুকের এক পুরনো ও নস্ট্যালজিক ফিচার— ‘পোক’ (Poke)। ২০০৪ সালে ফেসবুক যখন সদ্য আত্মপ্রকাশ করেছে, তখনই প্রথম দেখা মেলে এই পোক ফিচারের। উদ্দেশ্য ছিল খুব সাধারণ— কারও মনোযোগ আকর্ষণ করা। এক ধরণের ভার্চুয়াল কনুই ঠেলা বলা যেতে পারে একে। কখনও বন্ধুর সঙ্গে মজা করতেই, আবার কখনও ‘ফ্লার্ট’ করতেও ব্যবহার হতো এই ফিচার। তরুণদের মধ্যে তখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এটি।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকের ব্যবহার পদ্ধতি বদলায়। আসে লাইক, রিঅ্যাকশন, কমেন্ট, এবং পরে মেসেঞ্জার। ধীরে ধীরে পোক ফিচার হারিয়ে যায় ইউজারদের মন থেকে। অবশেষে ২০১৪ সালে সেটিকে কার্যত সরিয়েই দেয় মেটা। তবে ২০২৫ সালে এসে আবারও সেই ফিচারকে ফিরিয়ে আনছে মেটা— নতুন চেহারায়, নতুন অভিজ্ঞতায়।
কীভাবে কাজ করবে নতুন ‘পোক’ ফিচার?
নতুন আপডেটে ইউজাররা সরাসরি ফেসবুক প্রোফাইল থেকেই বন্ধুদের পোক করতে পারবেন। কারও নাম সার্চ করে খোঁজার দরকার হবে না। প্রোফাইলে গিয়ে সরাসরিই পোক অপশন পাওয়া যাবে। কেউ আপনাকে পোক করলে আপনি সঙ্গে সঙ্গে নোটিফিকেশন পাবেন। এবার আরও ইন্টারঅ্যাকটিভ করতে যুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন ইমোজি ব্যবহারের সুবিধাও। মেটার মতে, এই ফিচারের পুনরায় চালু হওয়া নিঃসন্দেহে পুরনো ইউজারদের মধ্যে এক ধরণের নস্ট্যালজিয়া ফিরিয়ে আনবে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে জেনারেশন জেড-কে আকর্ষণ করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। বর্তমানে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম রিলসের দৌলতে তরুণদের দখলে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মঞ্চ। সেই জায়গায় নিজেদের আবারও জায়গা করে নিতে চায় ফেসবুক। আর তাই পুরনো অথচ চেনা ছোঁয়ায় এবার মেটা খুঁজছে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।