দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :বর্ষার দিনে আমিষ মানেই ইলিশ নয়। নিরামিষের স্বাদ পেতে চান? বাজারে মিলছে প্রচুর টাটকা শাক-সবজি। তার মধ্যেই পটল দিয়ে ঝটপট রাঁধে ফেলুন নস্টালজিয়া জাগানো বাঙালি পদ—মৌরি পটল।
এই রান্নায় মশলার বাড়াবাড়ি নেই। খুব সামান্য আর চেনা মশলায় পটলের তরকারির স্বাদ এমন বদলে যেতে পারে, তা মুখে না দিলে বোঝা অসম্ভব!
কী ভাবে রান্নাটি বানাবেন?
উপকরণ:
৭-৮ টি পটল লম্বাটে টুকরোয় কাটা
২টি মাঝারি মাপের আলু লম্বাটে ভাবে কেটে নেওয়া
২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
১ টেবিল চামচ ঘি
৩ টেবিল চামচ মৌরি
২টি শুকনো লঙ্কা
১টি তেজপাতা
১টি ছোট এলাচ থেঁতো করা
১ গাঁট মাপের দারচিনি
২টি লবঙ্গ
১ টেবিল চামচ আদা বাটা
১/২ টেবিল চামচ লঙ্কা বাটা
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
আধ কাপ দুধ (প্রায় ৮-১০ টেবিল চামচ)
স্বাদমতো নুন
সামান্য চিনি
প্রণালী:
শুকনো কড়াইয়ে অল্প আঁচে মৌরি ভেজে নিন। সুগন্ধ বেরোলেই আঁচ বন্ধ করে ঠাণ্ডা হতে দিন তার পরে শিল নোড়া অথবা হামান দিস্তায় ভাজা মৌরি গুঁড়িয়ে নিন।
কড়াইতে সরিষার তেল দিন। তার পরে পটল এবং আলু আলাদা আলাদা করে ভেজে তুলে নিন।
বাকি তেলে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরোলে দিন আদা-লঙ্কা বাটা, এক টেবিল চামচ ভাজা মৌরির গুঁড়ো, হলুদ এবং লঙ্কাগুঁড়ো।
সামান্য জল দিয়ে মশলা ভাল ভাবে কষিয়ে নিন। তেল ছেড়ে এলে কষানো মশলায় দিন নুন, চিনি এবং আগে থেকে ভেজে রাখা পটল আর আলু।
আলু এবং পটল মশলায় ভাল ভাবে কষিয়ে নেওয়ার হলে কড়াইয়ে দুধ এবং সামান্য জল দিয়ে ফুটতে দিন।
এই সময়ে একটি অন্য বাটিতে বা প্যানে এক টেবিল চামচ ঘি গরম করে তার মধ্যে দিয়ে দিন এক টেবিল চামচ ভাজা মৌরির গুঁড়ো। মিশ্রণটি তরকারির উপর ঢেলে আঁচ বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে দিন।
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।