দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপি নেতৃত্ব যাওয়ার আগেই ফের সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। সন্দেশখালির মোট ১৯ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। জারি থাকবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অশান্তির আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত বলেই খবর।
ধামাখালি ঘাট-সহ সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ১৯ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকার মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্দেশখালি ঘাট, খুলনা ঘাট, বোলাখালি ঘাট, ত্রিমণি বাজার, পাত্র পাড়া, দুর্গামণ্ডপ জিপির গাববেড়িয়া মার্কেট, দুগুড়ি সহ আরও অনেক এলাকা। তবে বেড়মজুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতটিকে ১৪৪ ধারার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। অশান্ত সন্দেশখালিতে যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের পর্যবেক্ষেণ ছিল, রাজ্য এমন কোনও নথি রাজ্য দেখাতে পারেনি যার জেরে মানতে হবে গোটা সন্দেশখালি থানা এলাকায় ১৪৪ ধারার প্রয়োগ জরুরি ছিল। এদিকে এদিনই সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে এসপি অফিসের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতা কর্মীরা। তাঁদের রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ধর্না মঞ্চ থেকে আটক করে বসিরহাট স্টেডিয়ামের ভিতরে আনা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ বন্ডে সই করিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার হওয়ায় বুধবার ফের সন্দেশখালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুকান্ত মজুমদার। তবে তার আগেই নতুন করে সন্দেশখালিতে জারি হল ১১ ধারা।
মঙ্গলবার বিজেপির এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বসিরহাট। সূত্রের খবর, বুধবার বিজেপির সন্দেশখালি অভিযানকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। আর তার জেরেই ফের ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ২ টো নাগাদ নতুন করে নির্দেশিকা জারি করে প্রশাসন। যদিও চালু রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সকাল থেকে মাইকিং চলছে এলাকায়।