দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মাস দেড়েক পরেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত বড় ধাক্কা খেয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী বন্ড। তার মধ্যেই নির্বাচন বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে (এসবিআই) জানাতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। এখনও অবধি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দলের তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। যেহেতু স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া-র এই বন্ড বিলি করার একমাত্র অধিকার ছিল, তাই দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাঙ্ককেই এই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তথ্য জমা করতে পারল না স্টেট ব্যাঙ্ক।
নির্বাচনী বন্ডকে 'অসাংবাধিক' আখ্যা দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এক রায়ে নির্বাচনী বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে। ওই বন্ড বাতিল হওয়া উচিত বলেও মনে করে শীর্ষ আদালত। রায়ে শীর্ষ আদালত জানায়, নির্বাচনী বন্ডের তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলিতে ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেওয়া যাবে না আর। নির্বাচনী বন্ড কিনে যারা রাজনৈতিক অনুদান দিয়েছেন, তাদের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দল কত টাকা পেয়েছে, তাও জানাতে বলেন প্রধান বিচারপতি। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় স্টেট ব্যাঙ্ককে।
প্রধান বিচারপতি জানান, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক (এসবিআই) এই ধরনের বন্ড দেওয়া বন্ধ করবে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে জমা পড়া অনুদান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে দেবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলা হয়, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে কমিশনকে অনুদান সংক্রান্ত তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। আর নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য আগামী ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে দেবে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক (এসবিআই)। কিন্তু তারিখ পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন বন্ড নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে এসবিআই। কোন তহবিলে কত টাকা জমা পড়েছে সে নিয়ে কোনও তথ্যই আদালতে জমা করা হয়নি বলে খবর।