দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে এই সংহতি মিছিল শুরু করবেন তৃণমূলনেত্রী। যার পুরোভাগে কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, থাকবেন সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। পুরোহিত, মোয়াজ্জেম, শিখ গুরু, গির্জার ফাদার প্রত্যেকে সামনে থেকে এই মিছিলকে নেতৃত্ব দেবেন। মিছিল শেষ হবে পার্ক সার্কাসে। কয়েক হাজার মানুষ এই মিছিলে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। তাঁদের বড় অংশকে মমতা প্রথমেই পার্ক সার্কাস ময়দানে পৌঁছে যেতে বলেছেন। সেখানে যে মঞ্চ তৈরি হয়েছে তাকেও সর্বধর্ম সমন্বয়ের রূপ দেওয়া হয়েছে। সেখানে যে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই মঞ্চেও কোনও রাজনৈতিক নেতা থাকবেন না।
এই সংহতি মিছিলের প্রাক্কালে রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে পোস্ট করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক লিখেছেন, “মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার যা-ই হোক, ঘৃণা, হিংসা ও নিরীহ মানুষের মৃতদেহের উপর তৈরি কোনও উপাসনাস্থল মেনে নিতে আমার ধর্ম আমায় শেখায়নি।” রামমন্দিরকে সামনে রেখে যেভাবে দেশজুড়ে প্রচারে নেমেছে বিজেপি, তার সামনে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেকের এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আজ সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা কীভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরবেন মমতা? অযোধ্যায় আজ রামমন্দির প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির জন্য দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। সেই ক্ষণ শেষ হওয়ার আগে কোনও কর্মসূচি নয়। দুপুর তিনটে থেকে নিজের কর্মসূচি শুরু করছেন তৃণমূলনেত্রী। নিজেই ইতিপূর্বে সে কথা জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে তিনি কিছু বলবেন না। বলেছিলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমি সর্বধর্ম সমন্বয়ের মিছিল করছি। সেখানে থাকবেন সমস্ত ধর্মের মানুষ। তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানিয়ে হবে আমাদের কর্মসূচি।’ এই কর্মসূচিতে ইতিমধ্যে বাউল, মুরশিদি ও ফকিরি গানের একাধিক গোষ্ঠী ও শিল্পীরাও অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সদস্যরা।