দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘এবার অন্য কিছু উপায় ভাবার সময় এসেছে।’ সরকারি কর্মচারীদের নবান্ন বাস স্ট্যান্ডের র্যালি অনুমোদন দিয়ে বলল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। একক বেঞ্চের রায়ই থাকল বহাল ডিভিশন বেঞ্চে। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এভাবে র্যালি না করে নিজেদের বক্তব্য জানানোর অন্য উপায় ভাবার সময় এসেছে। প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, ” মিষ্টি দই, লুচি আর আলু পোস্তর মতো র্যালি, এটা বাঙালির কালচার।”
নবান্নের বাস স্ট্যান্ডের কাছে মিছিল ও ধর্নার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের কো অর্ডিনেশন কমিটি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ এই কর্মসূচি নিয়ে শর্তসাপেক্ষে নির্দেশ দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, হাওড়া রেল মিউজিয়াম থেকে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বৃহস্পতিবার মিছিল করা যাবে। তবে ১,৫০০-র বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবেন না। তাছাড়া পুলিশ ওই মিছিলের উপর প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করতে পারবে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, সিঙ্গল লাইনে মিছিল করতে হবে। মিছিল কোথাও দাঁড়িয়ে গেলে চলবে না। পাশাপাশি নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে পুলিশকে। হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, এই মিছিল-কর্মসূচির জন্য বিকল্প রুটের প্রস্তাব দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা মানেননি। শুধু তাই নয়, আগের কর্মসূচির চেয়ে লোকসংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে নবান্নর সামনের মিছিল নিয়ে অশান্তি হওয়ার আশঙ্কা করছিল রাজ্য। তাঁদের যুক্তি ছিল, সাধারণত ওই এলাকায় মিছিল করা যায় না। ওই এলাকা স্পর্শকাতর। কিন্তু আদালত সেই দাবি মানতে চায়নি।
রাজ্য সরকার কোন রুটের কথা বলেছিল এই কর্মসূচির জন্য? তাঁদের তরফে জানানো হয়েছিল, কো অর্ডিনেশন কমিটি যে এলাকায় মিছিল করতে চাইছে ওই এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। রেল মিউজিয়াম থেকে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড খুব জনবহুল এলাকা। হাওড়া লঞ্চ ঘাট থেকে হাওড়া ময়দান মিছিল করলে আপত্তি নেই। কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি মতোই পুরনো রুটে মিছিল হবে।