দুরন্ত বার্তা ডিজিতাল ডেস্কঃ শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষে একের পর এক সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছিলেন। সেই সময় নতুন সংসদ ভবনের মকরদ্বারের সামনে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূল, কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি-সহ বিরোধী দলগুলির সাংসদেরা। সেখানে কল্যাণ বিভিন্ন ভঙ্গি, শারীরিক ভাষায় কিছু দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। মনে করা হয়েছিল, উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়ের ‘নকল’ করছিলেন তিনি। কল্যাণের সেই ভঙ্গি দেখে হাসিতে লুটিয়ে পড়েন বিরোধী সাংসদেরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে সেই ঘটনার ভিডিয়ো করতে দেখা গিয়েছিল।
বিষয়টি কানে গিয়েছিল ধনখড়ের। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘গোটাটাই হাস্যকর। এ জিনিস মেনে নেওয়া যায় না।’’ কল্যাণ এই অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানিয়েছিলেন, নকলনবিশি করা তো শিল্পের একটা ধরন। রাজনৈতিক প্রতিবাদের অনেক রকম ভাষা থাকে। প্রধানমন্ত্রীও সংসদের মধ্যে অতীতে মিমিক্রি করেছেন। তার জন্য কি তিনিও ক্ষমা চাইবেন? তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কারও ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না তাঁর। ধনখড় তাঁর সিনিয়র। তিনিও কল্যাণের মতোই আইনজীবী ছিলেন। কল্যাণের কথায়, ‘‘আমাদের পেশায় আমরা কারও ভাবাবেগে আঘাত করি না। আমি ওঁকে শ্রদ্ধা করি।’’
এ বার সেই সব ‘টানাপড়েন’কে পিছনে ফেলেই কল্যাণকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন ধনখড়।নিজের এক্স হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ নিজেই। কল্যাণ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়। নিজের বাড়িতে নৈশভোজের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।শুধু সাংসদ নন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন ধনখড়। এ প্রসঙ্গে কল্যাণ এক্সে লিখেছেন, ‘‘আমার জন্মদিনে যে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছে উপরাষ্ট্রপতি, সে জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। আমি আপ্লুত যে, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ফোন করে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আমার পুরো পরিবারকে তাঁর আশীর্বাদ জানিয়েছেন।’’ তাঁকে ধনখড় যে সস্ত্রীক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সে কথাও জানিয়েছেন কল্যাণ। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার স্ত্রী এবং আমাকে তিনি দিল্লিতে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গে নৈশভোজের জন্য।’’