দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম অবসর নিয়েছেন। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিচারপতি সৌমেন সেন। সোমবার বিচারপতি সেনকে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে।
সোমবারই ছিল হাই কোর্টে বিচারপতি শিবজ্ঞানমের শেষ দিন। তাঁর পরে কলকাতা হাই কোর্টের সবচেয়ে বরিষ্ঠ বিচারপতি সেন। সেই কারণে আপাতত তাঁকেই এই পদে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম গত শুক্রবার বিচারপতি সেনকে মেঘালয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি করে পাঠানোর জন্য সুপারিশ করেছিল। তার মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে বিচারপতি সেনের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি এসেছে কেন্দ্র থেকে। মনে করা হচ্ছে, কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে মেঘালয়ে চলে যেতে হতে পারে বিচারপতি সেনকে। সে ক্ষেত্রে কলকাতা হাই কোর্টের পরবর্তী স্থায়ী প্রধান বিচারপতি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। সোমবার আইন মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের ২২৩ ধারা অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের অবসরের পর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনকে ওই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ করছেন রাষ্ট্রপতি।’’
কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেন এক পরিচিত মুখ। ২০১১ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে তিনি বিচারপতির পদে রয়েছেন এবং তাঁর চাকরির মেয়াদ রয়েছে ২০২৭ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত। বিচারপতি সেন বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি ও রায়দান করেছেন। তবে একসময় তিনি শিরোনামে উঠে এসেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে। একটি মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কিন্তু সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিল বিচারপতি সেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। পরে ‘ত্রুটি’-র কথা উল্লেখ করে সেই খারিজের আদেশও বাতিল করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। দুই বিচারপতির এই সংঘাত এমন মাত্রায় পৌঁছয় যে, অবশেষে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় সুপ্রিম কোর্টকে। শীর্ষ আদালত ওই মেডিক্যাল মামলা কলকাতা হাই কোর্ট থেকে সরিয়ে নেয়।