দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রের নামই একসঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে পার্থ ভৌমিককে। বর্তমান নৈহাটির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ। এবার তাঁকে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করল দল। আর পার্থ ভৌমিককে প্রার্থী করার পরেই ক্ষোভের সুর ধরা পড়ল অর্জুন সিং-এর গলায়।
শেষ মুহূর্তে এসে টিকিট না দেওয়ার দাবি করে ব্যারাকপুরের দাবাং নেতা বলেন, ‘দল বিশ্বাসভঙ্গ করেছে’। তবে কি ফের বিজেপিতে যাচ্ছেন ব্যারাকপুরের বর্তমান সাংসদ? এই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূলের জনগর্জন সভার দিনই সন্দেশখালিতে সভা করেন শুভেন্দু। সভা শেষে অর্জুনকে নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল অর্জুনকে বিশ্বাস করে না। আমাদের অনেকের সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ রয়েছে। আমার সঙ্গেও রয়েছে।” এমনকী অর্জুন সিং দ্রৌপদী মুর্মূকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরে অর্জুন ফের পদ্মমুখী হবেন কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
বরাবরই ব্যারাকপুরে লড়তে চেয়েছিলেন অর্জুন সিংহ। কিন্তু ওই আসনে টিকিট দিতে রাজি ছিল না তৃণমূল। অর্জুন সিং-এর যে প্রার্থী হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের অন্দরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। রবিবার তৃণূলের প্রার্থী ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্জুন বলেন, “আমি বলেছিলাম ব্যারাকপুরেই লড়ব। ব্যারাকপুরের বাইরে লড়ব না। টালবাহানা করে শেষ পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হল না। এতে আমার কোনও দুঃখ নেই। একটাই দুঃখ দল আগে যদি বলে দিত আমাকে দেবে না, তাহলেও ভাল ছিল। এটা বিশ্বাসভঙ্গ ছাড়া আর কী!”
অর্জুনের দাবি, তাঁকে রবিবার শেষ মুহূর্তে জানানো হয়েছে যে তিনি টিকিট পাচ্ছেন না। আর এতেই মনে 'আঘাত' পেয়েছেন সাংসদ। আসলে অর্জুনকে প্রার্থী না করা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জনঘোলাও কম হয়নি। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে যাতে অর্জুন সিং-কে টিকিট দেওয়া না হয়, এর জন্য জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্র সহ ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সাধারণ মানুষের সই সংগ্রহ শুরু করেছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। সেই সই সহ চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হয়। অর্জুনের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছিলেন সোমনাথ। আর এবার শুভেন্দুর পাশে দাঁড়ানো এবং অর্জুনের ক্ষোভে নতুন কোনও সমীকরণ দেখা যায় কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে।