দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মতলায় তৃণমূলের ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ খুলে দিল সেনা। তাঁদের দাবি, কর্মসূচির অনুমতি ছিল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত, সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় মঞ্চ খোলা হয়েছে। তবে তৃণমূলের অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, বিজেপির ইঙ্গিতেই এই পদক্ষেপ। যদিও বিজেপি সে দাবি অস্বীকার করেছে।
ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি সন্দেহে অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পথে নেমে আন্দোলনে শামিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা-সহ বোলপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ একাধিক জেলায় মিছিল করেন তিনি। ইতিমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পও চালু করেছে রাজ্য সরকার। ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ফেরা শ্রমিকদের জন্য এক বছর ৫ হাজার টাকা করে অনুদানও ঘোষণা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনি এবং রবিবার – সপ্তাহে দু’দিন করে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে রিলে অবস্থান করছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। সেখানেই তৈরি করা হয় ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ।
সোমবার হঠাৎই সেনার জওয়ানরা মেয়ো রোডে গিয়ে তৃণমূলের সভামঞ্চ খুলে দেন এবং ত্রিপল সরিয়ে দেন। তৃণমূলের অভিযোগ, এর নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে এবং বিজেপির ইঙ্গিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে বিজেপি তা নস্যাৎ করে জানিয়েছে, “ময়দান সেনার, তৃণমূলের জমিদারি নয়।” সেনার সিপিআরও গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিমাংশু তিওয়ারি স্পষ্ট করেছেন, অনুমতি ছিল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত, সময়সীমা পেরোনোর পর নিয়ম মেনে মঞ্চ খোলা হয়েছে। দু’দিনের কর্মসূচির জন্য দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চ রাখা সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন।