kolkata

1 year ago

Prasanna Roy:ম্যারাথন জেরা শেষে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির জালে মিডলম্যান প্রসন্ন রায়

Prasanna Roy
Prasanna Roy

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সিবিআইয়ের (CBI) পর নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডির জালে মিডলম্যান প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy)। ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে কীভাবে ৪০০ কোটির সম্পত্তির মালিক? চাকরি চুরির কালো টাকাতেই কি ৪০০ থেকে ৪৫০টি সম্পত্তি? সিজিও কমপ্লেক্সে প্রায় ১০ ঘণ্টা জেরার পরে প্রসন্ন রায় গ্রেফতার । এই প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকেই সিবিআই উদ্ধার করেছিল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিলের কপি। 

নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই প্রসন্নকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। তবে কয়েক মাস আগেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের কাজ করতেন, এমনই অভিযোগ। বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রসন্নর বিরুদ্ধে। নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় তিনি প্রচুর সম্পত্তি কেনেন বলে যে অভিযোগ ওঠে, তারই তদন্তে নামে ইডি। সেই সূত্রেই প্রসন্নকে একাধিকবার তলব করা হয়। সোমবারও প্রসন্নকে ডেকে সিজিও কমপ্লেক্সের দপ্তরে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। প্রায় ১১ ঘণ্টা জেরার পর রাতে প্রসন্নকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার প্রসন্ন রায়কে আদালতে পেশ করবে ইডি।মঙ্গলবার প্রসন্ন রায়কে আদালতে পেশ করবে ইডি।

ইডি এবং সিবিআই সূত্রে খবর, নামে-বেনামে কমপক্ষে ৮০টির উপর সংস্থা রয়েছে প্রসন্নের। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী এবং নিজের নামে রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। তার কিছু রয়েছে বিধাননগর, নিউ টাউনে বাকি শহরের অন্যান্য জায়গায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’। এক জন ‘মিডলম্যান’। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল।

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। তাঁর গ্রেপ্তারির পর থেকে একের পর এক সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হাওড়ার গাদিয়াড়ার পাশাপাশি সুন্দরবনেও প্রায় ৫০ কোটি টাকার দু’টি হোটেলের মালিক প্রসন্ন। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্ত্রী নীলিমাকে বিলাসবহুল হোটেল দুটি উপহার দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সুন্দরবনে পর্যটন ব‌্যবসা পোক্ত করার জন‌্য তিনটি বিলাসবহুল জলযানও কিনেছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগের জন্য নেওয়া ঘুষের টাকায় একের পর এক সম্পত্তি কেনা হয়েছিল।


You might also like!