দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:নেপাল পুরোপুরি অগ্নিগর্ভ। সরকারের বিরুদ্ধে টলমল করছে তরুণ প্রজন্ম, আর প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য নেপালে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ভারতীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মাবলি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে নেপাল সরকার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্সসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিলই। সম্প্রতি সেদেশে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ ২৬ ধরনের সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ হওয়ায় আগুনে ঘি পড়েছে। প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে সেখানকার তরুণ প্রজন্ম। রাস্তায় নেমে কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করে প্রশাসন। তা সত্ত্বেও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে তরুণ তুর্কিরা। নামানো হয় সেনা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলিতে ২১ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত ২৫০’র বেশি।
তরুণদের মৃত্যুর খবরে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে। সোমবার জারি করা বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘গতকাল থেকে নেপালে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এবং ঘটনাক্রম যেদিকে এগোচ্ছে, সেদিকে আমরা নজর রাখছি। এতগুলি তরুণ প্রাণ হারিয়ে যাওয়ায় আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই প্রার্থনা করি।’
ভারতীয়দের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কাঠমাণ্ডু এবং নেপালের একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। নেপালে যেসমস্ত ভারতীয়রা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। নেপালি প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে ভারতীয়দের।’ উল্লেখ্য, গুরুতর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার রাতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকে সরকার। সেখানই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সোশাল মিডিয়ার উপর থেকে সমস্ত রকম নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।