Game

13 hours ago

South Africa vs Australia:অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রেভিসের দাপট, সমতায় দক্ষিণ আফ্রিকা

Brevis century against Australia
Brevis century against Australia

 

দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হার অনেকটাই হয়েছিল মিডল অর্ডারের ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে (Australia vs South Africa)। সেই ম্যাচে মাত্র দুই রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (Dewald Brevis)। তবে প্রথম ম্যাচে রান না পাওয়ার আক্ষেপটা যেন একেবারে সুদে, আসলে মিটিয়ে নিলেন তরুণ তুর্কি। মাত্র ৪১ বলে কেরিয়ারের প্রথম তথা দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হাঁকালেন তিনি। তাঁর এই শতরানের ইনিংসে ভর করেই অজ়িদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারিয়ে সিরিজ়ে সমতায় ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা।

টস জিতে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ের জন্য পাঠান অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মিচেল মার্শ। দুই প্রোটিয়া ওপেনার এইডেন মারক্রাম (১৮) ও রায়ান রিকেলটন (১৪) বড় রান করতে পারেননি। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৫০ রানের গণ্ডি পার করার আগেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন সময়ে ব্যাটিংয়ে নামেন ব্রেভিস। লুয়ান ডি-প্রিটোরিয়াস ১০ রানে আউট হলে চাপ আরও বাড়ে।

তবে এরপরেই ব্রেভিস ও ট্রিস্টান স্টাবস এক স্মরণীয় শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। ব্রেভিসের ব্যাট থেকে একের পর এক লম্বা লম্বা শট বেরিয়ে আসে। নিজের ইনিংসে মোট আটটি ছক্কা হাঁকান তিনি। চারের সংখ্যা ছিল ১২। ৫৬ বলে তাঁর ১২৫ রানের ইনিংসে ভর করেই দক্ষিণ আফ্রিকা সাত উইকেটের বিনিময়ে ২১৩ রান তুলতে সক্ষম হয়। ট্রিস্টান স্টাবসও ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। আর কেউ বলার মতো রান পাননি। ফাফ ডুপ্লেসিকে পিছনে ফেলে ব্রেভিসই প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বাধিক রানের টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলে ফেললেন। যেখানে চারিদিকে রানের ফোয়ারা ছুটছে, সেখানে চার ওভারে মাত্র ২৪ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন বেন ডোয়ারস্যুইস।

জবাবে ব্যাটে নেমে ট্র্যাভিস হেড (৫) ও ক্যামেরন গ্রিন (৯), দুই অজ়ি টপ অর্ডার ব্যাটারই অল্প রানে সাজঘরে ফেরেন। গত ম্যাচে অর্ধশতরান হাঁকানো ইনফর্ম টিম ডেভিডকে এদিন চার নম্বরে প্রমোট করে অস্ট্রেলিয়া। টিম দু'শোর অধিক স্ট্রাইক রেটে ফের একবার এক দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। তবে তারপরেই তাঁকে ফেরান কাগিসো রাবাডা। ওপেনার মিচেল মার্শ (২২) করবিন বশের শিকার হন। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। করবিন বশ তিন উইকেট নেন। গত ম্যাচে চার উইকেট নেওয়া কিউইনা মাফাকা শুরুটা ভাল না করলেও, শেষটা দারুণভাবে করেন। তিন উইকেট আসে তাঁর ঝুলিতে।

এই দুইয়ের সুবাদেই অজ়ি মিডল অর্ডার দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ হয়। কেবল অ্যালেক্স ক্যারি ২৬ রানের ইনিংসে খানিক লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। তবে তা অস্ট্রেলিয়াকে প্রোটিয়াদের রানের ধারেকাছে নিয়ে যেতেও যথেষ্ট ছিল না। ১৬৫ রানেই অজ়িদের ইনিংস গুটিয়ে যায়। ৫৩ রানে ম্য়াচ জিতে সিরিজ়ে সমতায় ফেরে প্রোটিয়া বাহিনী। 



You might also like!