কলকাতা, ২৮ অক্টোবর : রবিবার ছটপুজো। তার প্রস্তুতি চলছে। শুক্রবার পর্যন্ত কালীপুজোর বিসর্জন চলবে ঘাটে। তারপরই ছটপুজো করতে ঘাটে ভিড় জমাবেন পুণ্যার্থীরা। তাই বিসর্জনপর্ব চলার সঙ্গেই ঘাটগুলিতে ছটের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যে বাজে কদমতলা ঘাটে বিসর্জনের সঙ্গে ছটপুজোর প্রস্তুতিও ঘুরে দেখেছেন। শুক্রবার মেয়র জানান, বিসর্জনের পরই ছটপুজো। বিসর্জন পর্ব শেষ হয়ে গেলে ওই ঘাটগুলোতেই ছটপুজো হবে। সেজন্য ঘাটগুলোতে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। বিসর্জনের আবর্জনা যাতে ঘাটে পড়ে না থাকে, সেজন্য চব্বিশ ঘণ্টা সাফাই কাজ চলেছে।
৪১টি ঘাটে ছটপুজোর ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুরসভা। রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো নিষিদ্ধ। ফলে ঘাটে চাপ বাড়বে। সেজন্য বিকল্প হিসাবে জলাশয়েও ছটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেখানে জলাশয় নেই সেখানে থাকবে কৃত্রিম জলাশয়। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে কেএমডি ৪৭টি জলাশয়ের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকেও ঘাট ও জলাশয় মিলিয়ে পুরসভা মোট ৪১টি জায়গা চিহ্নিত করেছে যেখানে ছটপুজো করতে পারবেন।
ভাইফোঁটা থাকায় কালীপুজোর বিসর্জন একদিন বাড়ানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, কালীপুজোর বিসর্জন শেষ হচ্ছে শুক্রবার, রবিবার ছটপুজো। হাতে সময় কম। তাই বিসর্জনের সঙ্গে ঘাটে ছটপুজোর পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে। ঘাটে নামতে পুণ্যার্থীদের যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।