Country

2 hours ago

Mumbai Monorail vs Delhi Metro comparison,:দিল্লি মেট্রো চলছে সাবলীল গতিতে, তবে কেন থমকে আছে মুম্বাই মনোরেল? ব্যাখ্যা রইল

reasons behind Mumbai Monorail failure.
reasons behind Mumbai Monorail failure.

 

দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে হঠাৎ থমকে যায় মুম্বাই মনোরেল, ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা আটকে পড়েন। এই ঘটনা আবারও মনোরেলের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষত দিল্লি মেট্রোর সঙ্গে তুলনায়, যেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করেন। মূলত অবকাঠামো, প্রযুক্তি, নকশা ও পরিচালনা পদ্ধতির ভিন্নতাই দুই ব্যবস্থার পার্থক্যের কারণ।

ট্র্যাক এবং কাঠামো: মনোরেলটি একটি একক বিম বা পিলারের উপর চলে, যা সাধারণত কংক্রিটের তৈরি এবং প্রায় ৫০-৬০ সেমি চওড়া। রাবার টায়ারযুক্ত কোচগুলি এই বিম ধরে চলাচল করে।বিপরীতে, মেট্রোরেল দুটি স্টিলের ট্র্যাকের উপর চলে, যা ঐতিহ্যবাহী ট্রেনের মতো কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি।

বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে মুম্বাই মনোরেল বিমের পাশে থাকা কন্টাক্ট জুতা ও বাস-বার থেকে শক্তি নেয়, যা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ একবার বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হলে পুরো লাইনই থমকে যায়। বিপরীতে, দিল্লি মেট্রো ওভারহেড ক্যাটেনারি তার ও প্যান্টোগ্রাফের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে, যেখানে লাইনের কোনো অংশ ব্যর্থ হলেও অন্য অংশ বা ব্যাকআপ থেকে সরবরাহ বজায় থাকে, ফলে পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় না।

ধারণক্ষমতা এবং মালামাল:একটি মনোরেল গাড়ি প্রায় ৩০০-৪০০ যাত্রী বহন করতে সক্ষম, আর চার কোচের একটি ট্রেনে সর্বোচ্চ প্রায় ১,০০০ যাত্রী ওঠানামা করতে পারেন। বিপরীতে, দিল্লি মেট্রোর আট কোচের একটি ট্রেন অনায়াসে ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ যাত্রী পরিবহন করতে পারে, যা একে ঘনবসতিপূর্ণ শহরে গণপরিবহনের জন্য আরও কার্যকর করে তোলে।

ট্র্যাক ডিজাইন এবং রক্ষণাবেক্ষণ:বিম কাঠামোর কারণে মনোরেলের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় তুলনামূলকভাবে বেশি, বিশেষ করে রাবারের টায়ার বারবার বদলানোর প্রয়োজন পড়ায়। অপরদিকে, মেট্রোরেল স্টিলের ট্র্যাকে চলে, যা প্রচলিত রেলপথের মতো হলেও আরও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর, ফলে রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর ও খরচে সাশ্রয়ী হয়।

পরিচালনাগত নমনীয়তা: যদি কোনো মনোরেল ট্রেন বিকল হয়ে যায়, তবে একমাত্র বিমের উপর চলাচলের কারণে পুরো লাইনই থমকে যায়, অন্য ট্রেনের এগোনোর কোনো উপায় থাকে না। অন্যদিকে, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ও সাইডিং বা টার্নআউটসহ মেট্রোরেল সহজেই বিকল ট্রেনকে ট্র্যাক থেকে সরিয়ে দিতে পারে, ফলে যাত্রীদেরও দ্রুত নিরাপদে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়।

ত্রুটির গল্প:২০১৪ সালে চালু হওয়া মুম্বাই মনোরেল নিয়মিত যান্ত্রিক ত্রুটি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং টায়ার অতিরিক্ত গরম হওয়ার মতো সমস্যার মুখে পড়েছে, যার ফলে এর পরিষেবা মাত্র ২০ কিলোমিটার এলাকাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এর বিপরীতে, ২০০২ সালে শুরু হওয়া দিল্লি মেট্রো আজ ৩৯০ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত, যেখানে উন্নত ব্যাকআপ ব্যবস্থার কারণে প্রযুক্তিগত ত্রুটি খুবই বিরল এবং প্রতিদিন প্রায় ৬০-৬৫ লক্ষ যাত্রী নিরবচ্ছিন্নভাবে যাতায়াত করতে পারেন।

You might also like!