নয়দা, ৯ আগস্ট: হরিয়ানার গুরুগ্রামের পরে শনিবার উত্তরপ্রদেশের নয়দায় পৌঁছে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম। নয়দায় বসবাসকারী পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সামিরুলের দাবি, নয়ডাতেও পরিযায়ী শ্রমিকদের মনেও সেই একই আতঙ্ক রয়েছে।
সামিরুল সমাজমাধ্যমে জানান, গুরুগ্রাম থেকে তিনি নয়দায় পৌঁছেছেন। জায়গা বদল হলেও, পরিস্থিতি সেই একই রয়েছে। নয়দার প্রতিটি কোনায় সেই একই উদ্বেগ রয়েছে বলে দাবি সামিরুলের। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বাঙালি-বিরোধী আচরণ এখানে এতটাই গভীরে গেঁথে রয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার মাছ খাওয়াও নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এটা কেমন অদ্ভুত বিষয়? কারও পোশাক বা খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ না করার শিক্ষা নিয়ে আমরা বড় হয়েছি। কিন্তু এখানে বাঙালি সংস্কৃতির অপরিহার্য মাছ-ভাতকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার এবং হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্যই তাঁদের সঙ্গে এই আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পর পর এই অভিযোগগুলি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এমন অবস্থায় রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে ঘুরে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাস্তব পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন। শুক্রবার তিনি ছিলেন গুরুগ্রামে। সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সবরকম ভাবে তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দেন।