দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, বিপরীত স্বভাবই নাকি একে অপরকে টানে। বাস্তব জীবনেও তার মিল মেলে বারবার—দেখা যায়, সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া দু’জন মানুষ অনেক সময়েই একেবারে দুই মেরুর। তবে সবসময় কি উল্টো স্বভাবের মানুষের সঙ্গে থাকা সহজ হয়? না, অনেক সময়েই মতভেদ ও ভুল বোঝাবুঝির কারণে তৈরি হয় অশান্তি। এমন অনেকে আছেন, যারা মনের কথা মুখে না বলে চুপ থাকেন, কিন্তু ধীরে ধীরে সঙ্গীর থেকে দূর সরে যান। এক ছাদের তলায় থেকেও যেন দূরত্ব বেড়ে যায়। আজ জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বুঝবেন, আপনার সঙ্গী আদৌ এই সম্পর্কে খুশি রয়েছেন কি না।
১. আগে ছোট ছোট যে কোনও কথা আপনার সঙ্গে শেয়ার করতেন সঙ্গী। যদি দেখেন, আর সেসব করছেন না প্রেমিক। আপনার সমস্যার কথা শুনলেও, নিজের কিছুই আর জানাচ্ছেন না, তাহলে বুঝবেন মানসিকভাবে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছেন তিনি।
২. মানসিকভাবে দূরত্ব তৈরি হয়ে গেলে আপনার রাগ, অভিমান, ভালোবাসা কোনওকিছুই আর তাঁকে স্পর্শ করবে না। একসঙ্গে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু আদতে তিনি আপনার থেকে শতযোজন দূরে চলে গিয়েছে। আপনি রাগ দেখান বা ভালোবেসে কাছে টেনে নিন, আগের মতো প্রতিক্রিয়া আর পাবেন না।
৩. হঠাৎ করেই আপনার খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন সঙ্গী? বুঝে নিন সম্পর্ক থেকে মন উঠেছে তাঁর।
৪. ছোট-বড় সব বিষয়ে মতানৈক্য হচ্ছে? দিনের পর দিন নিজেদের মধ্যেকার কথা অসমাপ্ত থাকলে দুজনের মধ্যেই বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট হয়। ফলে ছোটোখাটো বিষয়েই কথা কাটাকাটির পরিস্থিতি তৈরি হয়।
৫. দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্কে অনিহা প্রকাশ করছেন সঙ্গী? তাহলে বুঝতে হবে মানসিকভাবে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছে প্রিয়জন।
৬. আগে দু’জন একে অপরের কাছে ছিলেন খোলা পাতার মতো। যাবতীয় পাসওয়ার্ড ছিল দুজনের জানা। অর্থাৎ কোনও আড়াল ছিল না। হঠাৎ যদি আড়াল তৈরি হয়, গোপনীয়তা বাড়ান সঙ্গী, তাহলে বুঝবেন তিনি আপনার সঙ্গে ভালো নেই।