Life Style News

3 weeks ago

Health Alert:বয়স বাড়লে কমে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, সমাধান হতে পারে পোষ্য! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

brain health and aging
brain health and aging

 

দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বয়সের যত বাড়ে তত স্মৃতিশক্তির ধার কমে আসে। সময়ের সঙ্গে সারা বিশ্বে ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত জনসংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী। তবে  বাড়িতে পোষ্য থাকলে এ ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে একটি নতুন গবেষণায়। সেখানে বলা হয়েছে, বাড়িতে কুকুর বা বিড়াল থাকলে বয়সের সঙ্গে তারা মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা অটুট রাখতে সাহায্য করে।

গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, পোষ্য হিসেবে যাঁদের বাড়িতে কুকুর রয়েছে, বয়সের সঙ্গে তাঁদের স্মৃতিশক্তি প্রখর থেকেছে। অন্য দিকে যাঁদের বাড়িতে বিড়াল রয়েছে, তাঁদের কথাবার্তা বলার গতি কমে এসেছে। তবে পোষ্য হিসেবে মাছ বা পাখি রাখলে, স্মৃতিশক্তি অটুট রাখার ক্ষেত্রে কোনও রকম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।

এই গবেষণাটি সম্প্রতি ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্ট’ নামে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষক অ্যাড্রিয়ানা রস্তেকোভা বলেন, ‘‘মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে পোষ্যদের বড় ভূমিকা রয়েছে। যদিও কোনও কোনও পোষ্যের ক্ষেত্রে তার প্রভাব কী রকম, তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।’’

এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে গবেষকেরা ৫০ বছরের বেশি বয়সিদের ওপর ১৮ বছর ধরে তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করেছেন।সাধারণত মাছ এবং পাখির আয়ু কুকুর বা বিড়ালের থেকে কম। তাই গবেষকদের একাংশের ধারণা, স্মৃতিশক্তির বিকাশে বা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। কারণ, কম আয়ুষ্কালে মনিবের সঙ্গে তার আবেগঘন সম্পর্ক তৈরি হয় না। বরং পাখি মানুষের ঘুমের গুণগত মান নষ্ট করতে পারে, যা আবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।

গবেষকদের ধারণা, কুর বা বিড়াল মানুষের সামাজিকীকরণে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে মস্তিষ্কের জন্য উপকারে আসে। কুকুরের যত্নে শারীরিক পরিশ্রম হয়। আবার বিড়ালের ক্ষেত্রে আবেগের প্রাধান্য বেশি। উভয়েই পরোক্ষে বয়সকালে মানুষের কগনিটিভ স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভাল রাখতে সাহায্য করে।


You might also like!