দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ডাবের জলকে অনেকেই প্রাকৃতিক ‘স্পোর্টস ড্রিঙ্ক’ বলে থাকেন। এটি যেমন শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে, তেমনই দেহের ভেতরের টক্সিন দূর করতেও কার্যকর। গরমকালে বা শরীর দুর্বল লাগলে অনেকেই ডাবের জলে চুমুক দেন স্বস্তির খোঁজে। এতে থাকা ইলেক্ট্রোলাইটস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি উপাদান শরীরকে দ্রুত এনার্জি দেয়, হজমে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। তবে সকলের জন্য এই পানীয় সমান উপকারী নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে ডাবের জল ক্ষতির কারণও হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় ডাবের জল পান করা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কারা ডাবের জলের ক্ষেত্রে সতর্কতা পালন করবেন?
১) ডাবের জলে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। কিন্তু যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পটাশিয়াম সমস্যার কারণ হতে পারে। দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি হলে তা থেকে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে, যা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের অন্যতমন কারণ।
২) ডাবের জলে প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। যাই যাঁরা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত বা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাত্রায় ডাবের জল পান করা উচিত নয়।
৩) ডাবের জলে অল্প হলেও ক্যালোরি থাকে। একটি প্রমাণ আকারের ডাবের জলের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ ক্যালোরি থাকে। তাই যাঁরা কঠোর ডায়েটে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ডাবের জল বুঝে পান করা উচিত।
৪) খেলাধুলো বা শরীরচর্চার পর দেহে শক্তির জন্য সোডিয়ামের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ডাবের জলে সোডিয়ামের তুলনায় পটাশিয়াম বেশি থাকে। তাই এ ক্ষেত্রে নুন-চিনির জল বেশি উপকারী হতে পারে।
৫) বাদাম এবং বাদাম জাতীয় খাবার থেকে অনেকের অ্যালার্জি হতে পারে। তাঁদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে ডাবের জল থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।