kolkata

1 year ago

PC Sarkar: ম্যাজিক ছাড়লেন পি সি সরকার! জানালেন কারণ ও

PC Sarkar (File Picture)
PC Sarkar (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ৮০-বা ৯০ এর ছোটোদের ছেলে বেলা শীতের ছুটি মানেই চিড়িয়াখানা আর কলকাতার কোনো হলে পি সি সরকারের ম্যাজিক শো। মনে পড়ে তাঁর হাতের কারসাজিতে বদলে যাওয়া ফুলের রঙ, আর ওয়াটার অফ ইন্ডিয়ার সেই দারুন সব ম্যাজিক। এ প্রজন্মের ছোটোদের মধ্যে ম্যাজিক দেখার তেমন আগ্রহ চোখে পড়ে না, কিন্তু আজ ও জামির লেনের সেই ইন্দ্রজাল দেখলে মনে পড়ে যায় পুরোনো সেই দিন গুলি। 

কিন্তু সেই ইন্দ্রজালের সম্রাট ম্যাজিক ছেড়ে দেবেন বলে জানা গিয়েছে, কারন ও জানিয়েছেন, যাদুকর জানান- বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি দেখলে তাঁর বমি পায়। তাঁর কথায়, “ইচ্ছা করে গিয়ে ঘুষি মারি নেতাদের। শিক্ষায় দুর্নীতি করে আসলে সমাজটাকে শেষ করা হচ্ছে।দেশ নষ্ট করার এটা সুপ্ত অপচেষ্টা চলছে।” পি সি সরকার বললেন, “তাই আর ফুল ফুটবে না, বসন্ত আসবে না স্টেজে।”  

তাঁর সাফ উত্তর, “কে দেখবে ম্যাজিক? সমাজ বদলে গিয়েছে।” শুধুই কি এই কারণেই ছেড়ে দিতে চান তিনি? তা কিন্তু নয়। তাঁর ম্যাজিক ছাড়ার পিছনে বৃহত্তর স্বার্থ দেখছেন পি সি সরকার।

জুনিয়র পি সি সরকার এ দিন বললেন, “কেউ যদি স্বপ্নটাকেই লাথি মেরে দেয়, ম্যাজিক করব কীভাবে। আমার স্বপ্নটাই ভেঙে গিয়েছে। আমাদের দেশে রূপকথা উঠে গেছে। ব্যাঙ্গমা বেঙ্গমি জন্মাবে না। সিন্ড্রেলা হবে না। আমাদের দেশ দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে গিয়েছে।” তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, “যে মনে নীচু, তার হাতে যদি ক্ষমতা হয়ে যায়, তাহলে দেশ চলবে কীভাবে? বাঙালিকে বলি, বেশ হয়েছে, ভুল নির্বাচন করেছিলিস। বেশ হয়েছে। পরবর্তী জেনারেশন জুতো মেরে দেশকে ঠিক করবে।”

দেশ-রাজ্যের রাজনীতি অধোগতির দিকে এগোচ্ছে বলে আক্ষেপ পি সি সরকারের। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন পি সি সরকার। ভোটে না জিতলেও রাজনীতিতে আসা নিয়ে তাঁর আক্ষেপ কম নেই। তিনি জানান, রাজনীতিতে এসে ‘বলির পাঁঠা’ হয়েছেন। জিতলে পরের দিনই ছেড়ে দিতেন। 

তাঁর সাফ কথা তিনি  রাজনীতি করেন না। তিনি একজন শিল্পী। তাহলে কেন নেমেছিলেন ভোট ময়দানে? বললেন, “আমি একবার ভোটে লড়েছিলাম। মন্ত্রী বা সাংসদ হওয়ার জন্য নয়। সে হওয়ার জন্য লোক আলাদা। আমি সেই সময় দেখলাম, শিক্ষিত লোকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজনীতিতে আসছেন না। সেই জন্য বদমায়েশ, হাড় বজ্জাত লোকগুলি রাজনীতি করে আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে।”

তাঁর ভোটের ময়দানে নামার অন্য কারন ছিল! ভোটে নাম লিখিয়ে  তিনি আমজনতাকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, তিনি অনুধাবন করেছিলেন যে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। বললেন, “আমাদের সমাজে অনেক বিদ্বান, বুদ্ধিমান লোক আছেন। তাঁরা যতক্ষণ পর্যন্ত না রাজনীতিতে আসবেন এবং হাল ধরবেন, ততক্ষণ এই জিনিসটাই চলতে থাকবে। চোর-ছ্যাঁচোরে ভর্তি হয়ে যাবে।” 


You might also like!