দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নতুন বছরে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই শুরু হলে পরীক্ষা। রাজ্য সরকারি স্কুলগুলির পড়ুয়াদের জন্য এটাই প্রথম বোর্ডের পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় তাই বিশেষ গুরুত্ব দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাই নিরাপত্তার বন্দোবস্তও থাকে অনেক বেশি। সেই পরীক্ষায় এবার বড়সড় বদল আনতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নয়া কৌশল নেওয়া হচ্ছে পর্ষদের তরফে। একেবারে বদলে যাবে প্রশ্নপত্রের চেহারা।
সভাপতি জানিয়েছেন, প্রতিটি প্রশ্নপত্রে আলাদা আলাদা কোড রাখা হচ্ছে। সেই কোড প্রশ্নপত্রের প্রতিটি পাতায় থাকবে। প্রশ্নপত্র যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, সে কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে কেউ যাতে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে না পারেন, তার জন্যই ওই ব্যবস্থা থাকছে। ছবি ফাঁস হলে কোডের সাহায্যেই চিহ্নিত করা যাবে যে ওটা কোন পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র। কোনও পরীক্ষার্থী এই কাজ করলে তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।
বুধবার বাঁকুড়ার বঙ্গ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত একটি বৈঠক ছিল। সেখানেই যোগ দিতে গিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি। সেখানেই এই পদক্ষেপের কথা জানান তিনি। তিনি জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতায় একটি কোড থাকবে, যা সব পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে পৃথক হবে। প্রশ্নপত্রের পরের পাতাগুলিতেও সেই কোড এমবেড করা থাকবে। এর ফলে প্রশ্নপত্রের ছবি পেলেই, কার প্রশ্নপত্রের ছবি বাইরে বেরিয়েছে সেই পরীক্ষার্থীকে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যাবে বলেও জানিয়েছেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নতুন নয়। সম্প্রতি প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়ে যায়। তাই এবার পর্ষদ এক অভিনব পদক্ষেপ করতে চলেছে। এতে পরীক্ষার ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছে পর্ষদ।