দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের দুজন অফিসারের বিরুদ্ধে। সূত্র মারফত তেমনই জানা যাচ্ছে। এবার ওই দু’জন অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হল। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যে দু’জনকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে সরানো হয়েছে, তাঁরা হলেন অমিত রায় চৌধুরী ও রাহুল নাথ।
দীর্ঘ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছে এমন সিনিয়র আধিকারিকদের দায়িত্ব থেকে সরাতে রাজ্যের কাছে আধিকারিকদের তালিকা চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই হিসেবে গত ১০ বছর ধরে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্বে রয়েছেন অমিত রায়চৌধুরী। অন্যদিকে, জয়েন্ট সিইও রাহুল নাথ দায়িত্বে রয়েছেন প্রায় ৬ বছর ধরে। সূত্রের খবর, অনেক বছর ধরে দায়িত্বে থাকার জন্যই দুই আধিকারিককে এদিন সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এই দুই আধিকারিককে সরানোর পিছনে উঠে আসছে আরও একটি তত্ত্ব। সম্প্রতি, অমিত রায়চৌধুরী ও রাহুল নাথের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি দাবি করেন, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এই আধিকারিকরা দায়িত্বে থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। তাঁর অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ।
নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর রাজ্যজুড়ে আধিকারিকদের রদবদল প্রক্রিয়া জারি রয়েছে কমিশনের তরফে। এর আগে গত ১৮ মার্চ রাজীব কুমারকে সরিয়ে রাজ্যের ডিজিপি করা হয়েছিল বিবেক সহায়কে। পরদিন, ১৯ মার্চেই তাঁকেও সরিয়ে বাংলার নয়া ডিজিপি হন আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। এরপর থেকে দফায় দফায় রাজ্যের একাধিক পুলিশ সুপার ও জেলা শাসককে বদল করা হয়েছে কমিশনের তরফে। সেই তালিকায় এবার সিইও দপ্তরের দুই আধিকারিক।