দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ অযোধ্যাতে রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন কলকাতাকে অযোধ্যার তুলনায় কোনো অংশে কম বলে মনে হল না। গণেশ টকিজের বৈকণ্ঠপুর মন্দির থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের রাম মন্দিরের উদ্দেশে ঢাক বাজিয়ে, ধূপ জ্বালিয়ে শোভাযাত্রা চলেছিল। 'শ্রীরাম সেনা' নামে একটি ধর্মীয় সংগঠনের উদ্যোগে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার দুপুরে এই শোভাযাত্রা বের হয়। সেই শোভা যাত্রাতে দলীয় ঝাণ্ডা ছাড়াই অংশ গ্রহণ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
গেরুয়া ঝাণ্ডা হাতে মিছিলের একদম সম্মুখে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশে যোগ দিয়েছিলেন এক বর্ষীয়ান নেতা রাহুল সিনহা। তবে এই বিশেষ শোভাযাত্রায় পদ্ম পতাকার দেখা মেলেনি।
শোভাযাত্রাজুড়ে শুধুই গেরুয়া ঝান্ডা আর রামচন্দ্রের কাটআউট। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। দেশের অন্য প্রান্তের মতো বাংলাতেও যে রাম একই রকম প্রসাঙ্গিক--সেই বার্তা দিতে শোভাযাত্রায় রাখা হয়েছিল দুর্গা-প্রতিমাও। কথিত আছে, দুর্গার অকালবোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। বাংলায় সেই অকালবোধনের নির্ঘণ্ট মেনেই দুর্গাপুজো হয়।
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া এক বিজেপি নেতার কথায়, 'বিরোধীরা প্রচার করে, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে রামের কোনও যোগসূত্র নেই। সেটা যে কতবড় ভুল, এই শোভাযাত্রা তারই প্রমাণ।' রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে রবিবারই উত্তর কলকাতার বিবেকানন্দ পার্কে যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। সোমবার সন্ধ্যায় হাওড়ার রামকৃষ্ণ ঘাটে গঙ্গা-আরতিও করেন বিরোধী দলনেতা।