কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর : বুধবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলি, ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহমেদের বাড়ির সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছিলেন আয়কর দফতরের কর্তারা। আর বৃহস্পতিবার কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের তৎপর হল সিবিআই। কলকাতাসহ রাজ্যের মোট ১২ জায়াগায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যের নানা প্রান্তে হানা দিয়ে তল্লাশি চালানো শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। বেলা গড়ানোর পরেও প্রায় সব জায়গাতেই চলে তল্লাশি। সিবিআই সূত্রে খবর, যাঁদের বাড়ি বা দফতরে তল্লাশি চালানো হয়, তাঁদের প্রত্যেকেই কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার ঘনিষ্ঠ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে সিবিআই আধিকারিকেরা যান কলকাতার ভবানীপুর, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, মালদহের রতুয়া এবং পুরুলিয়ায়। সিবিআই সূত্রে খবর, এ দিন সকাল থেকে অন্তত ১২ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আসানসোলে স্নেহাশিস তালুকদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রতুয়ায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে শ্যামল সিংহ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। এরা দু’জনেই লালা-ঘনিষ্ঠ বলে ওই সূত্রের খবর। তার মধ্যে স্নেহাশিস, লালার টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করতেন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ভবানীপুরেও কয়লা পাচার মামলার তদন্তে একটি বহুতল আবাসনে তল্লাশি চালানো হয়। এ ছাড়াও একাধিক অবসরপ্রাপ্ত এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরাও।