দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সংগ্রামী নেত্রী থেকে রাজ্যের মসনদে বসা লড়াকু নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ জন্মদিন। সরকারি নথি বলছে, ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম তাঁর। সেই হিসেবে উনসত্তর ছুঁয়ে ফেললেন জননেত্রী। কিন্তু বয়স বাড়লেও পথে নেমে রাজনীতি করার ক্ষেত্রে এখনও তিনি এখন যুব সমাজের অনুপ্রেরনা।
৫ তারিখ সকাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাঁকে। তবে সরকারিভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন ৫ জানুয়ারি হলেও, এই দিনটিতে তাঁর ‘আসল’ জন্মদিন নয়। সেটা কবে? নিজের লেখা ‘একান্তে’ বইতেই এই উত্তরটা দিয়েছেন নেত্রী।
নিজের জীবন নিয়ে অকপটে অনেক কথাই তিনি প্রকাশ করেছেন। ‘একান্তে’ বইয়ের ৮৪ নং পাতার শুরুতেই লেখা –
”মা’র কথানুযায়ী দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর দিন সন্ধিপুজোর সময় আমার জন্ম। এর তিনদিন আগে থেকে নাকি শুরু হয়েছিল একটানা প্রবল বৃষ্টি। আমি চোখ খোলার পর নাকি বৃষ্টি থেমে যায়।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০১২ ও ২০২১ সালে ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০জন ব্যক্তি’-র তালিকায় জায়গা দিয়েছিল ‘টাইম’ ম্যাগাজিন। ২০১৩ সালে ‘ইন্ডিয়া এগেইনস্ট করাপশন যে জনমত সংগ্রহ করেছিল, তাতে তিনি ‘ভারতের সবচেয়ে সৎ রাজনীতিবিদ’ হিসাবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন।
রাজনীতি আর মমতা শব্দ দুটি যেন অভিন্ন। বাংলার রাজনীতিতে তিনিই অগ্নিকন্যা। যার সংগ্রাম আজও যুব সমাজের বুকে শক্তি যোগায় নতুন কিছু করার। তিনি এখন আর কালিঘাটের সেই ছোট্ট টালির চালের বাড়িতে থাকা যুবনেত্রী নন, তিনি বাংলার আশা। তাঁর দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বাঁধে কত কিশোর, ছাত্র, যুব। তিনি আজ আর গায়ত্রীদেবীর মেয়ে নন, তিনি গোটা বাংলার মেয়ে।