দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতায় ফের বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডব। শুধু লাগামছাড়া গতি, ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ বা দুর্ঘটনা ঘটানো নয়, ধরা পড়ার পর চালকের আচরণেও তাজ্জব পুলিশ! চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউের উপর বিলাসবহুল গাড়ি দাঁড় করিয়ে এক মত্ত চালকের দাপাদাপির প্রকাশ্য অভিযোগ উঠল। বুধবার সকালে অফিস যাওয়ার ব্যস্ত সময়ে এমনই দৃশ্য দেখা গেল জোড়াসাঁকোর কাছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ভ্যানগাড়িতে এসে ধাক্কা মারে বিলাসবহুল গাড়িটি। জোড়াসাঁকোর কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি দু’টির সামান্য ক্ষতি হলেও ওই ঘটনায় কেউ চোট পাননি।
দুর্ঘটনায় কেউ আহত না হলেও ভ্যানগাড়িতে ধাক্কা মারার পর নিজের গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বিলাসবহুল গাড়ির চালক। মাঝরাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে সটান চেপে বসেন গাড়িটির বনেটে। বনেটের উপরে বসে রীতিমতো দাপাদাপি শুরু করেন তিনি। কখনও গাড়ির বনেটে শুয়ে পড়েন, আবার কখনও বনেটে চুপ করে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। সূত্রের খবর, হাত-পা নাড়িয়ে অঙ্গভঙ্গি করে নাচতেও শুরু করেন তিনি।
ভিডিওয় দেখা গেছে এমনই দৃশ্য। থানাতে গিয়েও ওই যুবকের আচরণ ছিল দুর্বিনীত। অডি গাড়িটিও আটক করেছে পুলিশ। তাঁর অসংলগ্ন কথা শুনে স্থানীয়রা বুঝতে পারেন যে, ওই ব্যক্তি মত্ত হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুলিশ ধরে ফেলায় কাঁচুমাচু হওয়া তো দূরে থাক, পুলিশকেও গালিগালাজ শুরু করে দেন চালক! এর পরেই জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ এসে ওই চালককে আটক করে।
বিলাসবহুল গাড়িটিকে রাস্তার পাশে সরানো হয়। মত্ত চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কিছু জানা যায়নি। কিছু জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা শুরু করেন বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। তবে তাঁর বাড়ি পার্ক স্ট্রিট এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। হেস্টিংসেও তাঁর একটি ঠিকানা রয়েছে।
বিলাসবহুল গাড়িটিকে খোলার চেষ্টা চলে। গাড়ির ভেতর একাধিক মদের বোতল রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গাড়িটিতে যে নম্বর প্লেট রয়েছে, তা উত্তরপ্রদেশের। স্টিকার লাগানো রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। কিন্তু কে এই উদ্ধত যুবক? পুলিশ সূত্রে খবর, নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মত্ত যুবক সোনাগাছি থেকে ফিরছিলেন। মহম্মদ আলি পার্কের সামনে প্রথমে একজন ভ্যানচালককে ধাক্কা মারে অডি গাড়িটি। তারপরেই চালক চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করেন । তাই বাড়ান গাড়ির গতি। পরের সিগনালেই জোড়াসাঁকো থানা আর জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ মত্ত যুবককে ধরে ফেলে।