দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুযায়ী, দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের রাস্তায় আর অবাধে ঘুরতে দেওয়া যাবে না পথকুকুরদের। তাদের রাখতে হবে নির্দিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রে।শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, যোগ দিয়েছেন খ্যাতনামীরাও। রবীনা টন্ডন থেকে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়— বলিউড-টলিউড এই এক বিষয়ে একমত। প্রত্যেক দিন বিষয়টি নিয়ে কেউ না কেউ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ব্যতিক্রম পরিচালক রামগোপাল বর্মা। প্রতি বারের মতো, এ বারও বিরুদ্ধ মত পোষণ করছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন, “যে দিন চার বছরের মেয়েটিকে ছিড়ে খেল ওরা, সে দিন সারমেয়প্রেমীরা কোথায় ছিলেন?”
এক্স (টুইটারের আধুনিক সংস্করণ) হ্যান্ডলে এই তোপ দাগতেই বিতর্ক নতুন মোড় নিয়েছে। শীর্ষ আদালতের রায়ের পরে পশুপ্রেমীদের নিশানায় রামু। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি পরিচালক কুকুর পছন্দ করেন না?
তারও উত্তর দিয়েছেন তিনি সমাজমাধ্যমে। লিখেছেন, “আমি কুকুর বিদ্বেষী নই। আমিও পশুপ্রেমী। কিন্তু সেই প্রেম চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে থাকাই বাঞ্ছনীয়। সুন্দর বাংলোয় উঁচু জাতের সারমেয়দের আমি অত্যন্ত পছন্দ করি।” রামুর মতে, রাস্তায় বা বস্তিতে গরিব পরিবারের সঙ্গে সারমেয়ের একত্রবাস তিনি মেনে নিতে পারেন না। নিজের কথার পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ধনি ব্যক্তি যখন বিলাসবহুল বাংলোয় ল্যাব্রাডর বা সমতুল্য উঁচু জাতের কোনও সারমেয়ের রেশমি লোমে হাত বোলান তখন পথপশুর কামড় থেকে নিজের খুদে সন্তানকে বাঁচাতে ব্যস্ত হতদরিদ্র মা-বাবা!
রাস্তায় ছেড়ে রেখে দেওয়া কুকুর কখন কাকে আক্রমণ আক্রমণ করবে কে বলতে পারে! প্রতিবাদকারীদের প্রতি এই ভাবনা থেকেই রামগোপালের কটাক্ষ, “আগে মানুষ না আগে পথপশু? প্রতি বছর বহু মানুষ আক্রান্ত হন, মারা যান কুকুরের কামড়ে। করুণা কি লেজ নাড়ানো পথপশুদের জন্য সংরক্ষিত? আগামী প্রজন্মকে নির্বিঘ্নে বেড়ে ওঠার অধিকার কে দেবে?”
বিষয়টির সহজ সমাধান হিসাবে ‘রঙ্গিলা’ পরিচালকের পরামর্শ, পশুপ্রেমীরা পথপশুদের দত্তক নিতে পারেন। এতে পথঘাট যেমন পথপশু মুক্ত থাকে। তেমনই নাগরিকেরা রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারেন।