West Bengal

3 hours ago

Mamata on Vishwakarma Puja: বড় সিদ্ধান্ত মমতার—রাজ্যে বিশ্বকর্মা পুজোয় এবার সরকারি ছুটি!

Mamata Banerjee
Mamata Banerjee

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে বুধবার তিনি ঘোষণা করেন, এবার থেকে রাজ্যে বিশ্বকর্মা পুজোতে সরকারি ছুটি থাকবে। বর্তমানে তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, আর সফরের  দ্বিতীয় দিনেই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি এছাড়াও আরও একাধিক নির্দেশ ও মন্তব্য করেন। সভায় মমতা জানান, যাঁদের এখনও আধার কার্ড নেই, তাঁদের দ্রুত কার্ড করে দিতে হবে। এজন্য জেলাশাসকদের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমেই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আধার কার্ড করে দিতে বলব জেলাশাসককে। না-হলে সমস্যা হবে।”

চলমান নিয়োগ সমস্যা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে যেসব পরীক্ষা বন্ধ ছিল, সেগুলি ফের শুরু হয়েছে। গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি নিয়োগের নোটিফিকেশন প্রকাশ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে আইনি জটিলতা কেটে গেলে অবশিষ্ট নিয়োগ প্রক্রিয়াও এগিয়ে যাবে বলে জানান। মমতা বলেন, শিক্ষক নিয়োগে আমরা ইতিমধ্যেই ৩৫ হাজার পদ পূরণ করেছি। এখনও ২১ হাজার পদ খালি আছে। চেষ্টা করছি দ্রুত পূরণ করার।” এই প্রসঙ্গেই বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, “যখনই নিয়োগ করতে যাচ্ছি, পিআইএল করে আটকে দিচ্ছে। চাকরি দেবে না, চাকরি খাবে? এসব বাংলা মানে না।” চা-বাগানের শ্রমিকদের সুবিধার্থে জলপাইগুড়িতে ১৩ হাজার বাড়ি তৈরি হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। বোনাস পাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, তার জন্য মুখ্যসচিবকে নজর রাখতে বলেন তিনি। একই সঙ্গে বিরোধী চা-শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতি সতর্কবার্তা দিয়ে মমতার মন্তব্য, শ্রমিকদের টাকা নিয়ে খেলবেন না।” আবাস যোজনা থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজ, য় সব ক্ষেত্রেই কেন্দ্র বাংলাকে বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, বাংলার বাড়ি আমরা করে দিয়েছি। দিল্লির দয়া বা ভিক্ষা চাই না। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হলে আমাদের যায় আসে না, কারণ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আছে, কর্মশ্রী প্রকল্প আছে।”

তিনি জানান, শুধু জলপাইগুড়িতেই কর্মশ্রী প্রকল্পে ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার মানুষ কাজ পাচ্ছেন। সারা রাজ্যে প্রায় ৭৮ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। মমতা নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে বলেন, আমার নামে খেলা হবে, স্টেডিয়াম হবে, মি এসব চাই না। মনিষীদের নামে করতে হবে।” সঙ্গে অভিযোগ তোলেন, বাংলায় কথা বলার কারণে ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। অসম থেকে আলিপুরদুয়ার-কোচবিহারের মানুষকে নোটিশ পাঠানোর ঘটনাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁর সাফ বার্তা, "আমরা বেশি করে বাংলায় কথা বলব। আমাদের বাংলা চালাবে বাংলা, দিল্লি নয়।”  নিজের রাজনৈতিক যাত্রাপথের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, “যতদিন রাজনীতি করব, মাথা উঁচু করেই করব। অন্য কেউ হলে লজ্জায় পালিয়ে যেত। আমি বলব— বাংলা ভাল থাকলেই দেশ ভাল থাকবে। জয় বাংলা।”

You might also like!