দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নতুন বছরেই শুরু হতে চলেছে কলকাতা বইমেলা। বইমেলা প্রাঙ্গণে পার্কিংয়ের সমস্যা নতুন নয়, তবে এবার সেই সমস্যা সমাধানের জন্য নয়া ভাবনা করেছে নবান্ন।ওই চত্বরে থাকা সমস্ত সরকারি দপ্তরে এবার শনি-রবিবার এবং ছুটির দিনে বইমেলা উপলক্ষে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি বইমেলা শুরুর আগে সল্টলেকের সমস্ত রাস্তাঘাট সারানো হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার নবান্নে বইমেলা নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিনের বৈঠকে ছিলেন পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন-সহ পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপস্থ আধিকারিকরা। ছিলেন গিল্ডের কর্তারাও।
২০২৪ সালে ১৮ জানুয়ারি থেকে সল্টলেকে করুণাময়ীতে শুরু হচ্ছে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের মেলায় স্টলের সংখ্যা বাড়ছে। প্রায় ১০০ টি বাড়তি স্টল বসবে বইমেলায়। লিটল ম্যাগাজিন-সহ ১০৫০টি স্টল থাকছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, বইমেলা শুরুর আগে সল্টলেকের সমস্ত রাস্তাঘাট মেরামত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেইমতো কেএমডিএ এবং বিধাননগর পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এবারের মেলায় আরও বেশি বইপ্রেমী মানুষ আসবেন, তা ধরে নিয়েই গতবারের তুলনায় বইমেলা স্পেশাল বাসের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
বইমেলা প্রাঙ্গণ চত্বরে গতবারের তুলনায় বাড়ানো হচ্ছে আলো। মাঠে বায়োটয়লেটের সংখ্যাও বাড়বে বলেই জানা গিয়েছে। তবে প্রতিবার মূল যে সমস্যা থাকে, সেই পার্কিংয়ের জন্য এবার সরকারি দপ্তরের খোলা জায়গাকে ব্যবহার করা হবে। তবে তা কেবল ছুটির দিন এবং শনি-রবিবার। কারণ ওইদিন ভিড় বাড়ে। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘বইমেলা নিয়ে একটা বৈঠক হয়েছে। সেখানে যাবতীয় বন্দোবস্ত নিয়ে আলোচনা হয়। এবার বইমেলায় হাজারের বেশি স্টল থাকছে।’’ গিল্ডের অপর কর্মকর্তা সুধাংশু দে বলেন, ‘‘২৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা মাঠ পেয়ে যাব। বইমেলার কাজ সেখানে শুরু করে দেওয়া যাবে।’’ এর পাশাপাশি শনি ও রবিতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালানোর জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও অনুরোধ করা হয়েছে।