দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সিঙ্গুরকে সামনে রেখে রাজ্য রাজনীতিতে পরিবর্তন এলেও, সিঙ্গুরের চাষিদের জীবনে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রসঙ্গত, কারখানা তৈরিতে জমি দিতে সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক চাষিদের আন্দোলনকে সামনে রেখেই রাজ্যে ‘পরিবর্তনের’ ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী কালে সিঙ্গুরে টাটার কারখানার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল তাঁর সরকার।কিন্তু সময়ের বদলের সাথে সাথে পরিবর্তন এসেছে রাজ্য রাজনীতিতেও। যে চাষিরা একসময় তৃণমূল সরকারের পাশে ছিল এবার তারাই মমতার সরকারের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্য জমি ফেরায়নি এবং ক্ষতিপূরণও দেয়নি। এ নিয়ে বার বার সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
বৃহস্পতিবার মামলা শুনে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে। তার পরে পরবর্তী শুনানি। আদালতের খবর, মামলাটি হয়েছে ভারতীয় শান্তি দল নামে একটি সংগঠনের নামে। তাদের আবেদন, শুধু জমি ফেরালেই হবে না। আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত মামলায় জিতেছিল রাজ্য সরকার। তার পরে টাটাদের কারখানার ইমারত ভেঙে গুঁড়িয়ে সেই জমিতে সর্ষে চাষের নিদান দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি জাতীয় আরবিট্রেশন ট্রাইবুনালে গিয়ে কারখানা না-করতে দেওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার রায় পেয়েছে টাটা গোষ্ঠী। গত কয়েক বছরে রাজ্যে বেকারত্বের প্রসঙ্গে সিঙ্গুরে কারখানা না-হওয়াকে নিশানা করেছেন বিরোধীরা। ভোটের আগে ফের সিঙ্গুরের জমি নিয়ে মামলা ভোটের রঙ বদলে দিতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।