দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় স্বস্তি পেল পর্ষদ। প্যানেল প্রকাশের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। সেই নিয়োগ নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবিলম্বে ওই বছরের নিয়োগের প্যানেল পেশ করতে হবে আদালতে। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে।
২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ ছিল, ১০ দিনের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। তাতে অসুবিধা থাকলে প্যানেল আদালতে জমা দিতে বলা হয়। পর্ষদকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ১০ জানুয়ারি সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। তাতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ খারিজ করা হচ্ছে। তবে মামলার বাকি অংশের শুনানি করতে পারবে একক বেঞ্চ।
২০১৪ সালে যে টেট নেওয়া হয়, সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। ৪২ হাজারেরও বেশি শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছিল ২০১৬ সালে। কিন্তু, সেই নিয়োগ ঘিরে বিস্তর গরমিলের অভিযোগ উঠে ওঠে। এ নিয়ে ধর্না দেন চাকরিপ্রার্থীরা। অতীতে এই মামলার শুনানিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল তাঁর। শেষ শুনানিতে সব মিলিয়ে মোট ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই মতো আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় ছিল পর্ষদের কাছে। হার্ড কপি ও সফট কপি জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই বদলে গেল নির্দেশ।